অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,২৮ ফেব্রুয়ারি;- জয়ের দেখা মিলেছে আই লিগে। রানার্স হলে তো এএফসি কাপও খেলার ছাড়পত্র মিলতে পারে। এমন সময়ে অশান্তির আবহ লাল হলুদ শিবিরে। ক্রোমার সঙ্গে কোচ মারিও ঝামেলা। ক্রোমার কোচের বিরুদ্ধে মন্তব্য। এবার সেই বিতর্ক যেন চার্চিল ম্যাচের আগে আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল । বোঝা মুশকিল আজ যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলের কে আসল প্রতিপক্ষ চার্চিল না দলের অন্তকলহ। চার্চিলের বিরুদ্ধে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনেই ক্রোমাকে একহাত নিলেন কোচ মারিও রিভেরা। ট্রাউ ম্যাচে ক্রোমাকে তুলে নেওয়ার পরই মারিওর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ক্রোমা। বলেন, প্রথম দিন থেকে আমার সঙ্গে চক্রান্ত করছিলেন উনি। ট্রাউ ম্যাচে হঠাৎই তুলে নেয় আমাকে। ওখান থেকে ওনার সঙ্গে লড়াই শুরু হয়ে যায় আমার। আমি আর ধৈয্য ধরে রাখতে পারিনি। টিমে সবার জন্য উনি একধরনের মনোভাব পোষণ করেন , আর আমার জন্য আরেক ধরণের হিংসাত্মক। প্রতি মুহূর্তে তিনি ভয় দেখান আমাকে। এমন করলে দল
থেকে বাদ দিয়ে দেব। গোল করতে না পারলে তুলে নেব। দলের অন্যরা ভালো
পারফরমেন্স করতে না পারলেও, ফুটবলার পরিবর্তনের বিষয় এলে আমার উপর কোপ
পরে। মারিও ক্রোমাকে নিয়ে বলেন, একজন ফুটবলারকে তুলে নিলে তাঁর মন খারাপ
হতেই পারে। কিন্তু এই জিনিসটা দেখতে হবে তাঁকে তুলে নেওয়ার পর দল কেমন খেলছে। সেদিন ক্রোমাকে তোলার পর দল ভালো খেলছিল। আমি খুশি, কারণ দল জিতেছিল। এখানে তো কারোর প্রশ্ন থাকার কথা নয়। দলের স্বার্থই আমাকে আগে দেখতে হবে। চার্চিল ম্যাচে কি তাহলে কোপ পড়তে চলেছে ক্রোমার ওপর ! মারিও অবশ্য বলেন, দেখা যাক কী করা যায়। দলই আমার কাছে আসল। দলের ভালোর জন্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব পরিস্থিতি অনুযায়ী। তবে ক্রোমার ওপর শুধু কোচ নন। লাল হলুদ ফুটবলাররাও ক্ষুব্ধ।জয়ে দেখা মিলেছে আই লিগে। রানার্স হলে তো এএফসি কাপও খেলার ছাড়পত্র মিলতে পারে।








