হুগলি,৭ ফেব্রুয়ারি:- কথায় বলে যিনি রাধেন তিনি চুলও বাঁধেন আপ্তবাক্য টি কতো ধ্রবসত্য তা পূর্ব্ বর্ধমানের তৃনমূল কংগ্রেসের ছোট থেকে বুড়ো আবালবৃদ্ধবনিতার প্রানের মানুষ পূর্বস্থলীর বিধানসভা হতে বিপুল মানুষের আর্শীবাদে নির্বাচিত বিধায়ক এবং মা মাটি মানুষের তিন তিনটি গুরুত্ব পূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ কে দেখে বোঝা যায় সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যস্ত রাজনৈতিক নির্বাহ করেও তিনি একজন যেমন নাট্যমোদী মানুষ তেমনই নিজে একজন দক্ষঅভিনেতাও বটে ৷ বৃহস্পতিবার । চার দিনব্যাপী চন্দননগর উৎসবের শেষদিনে এখানকার মেরি ময়দানে যাত্রাপালা অংশ নিলেন স্বপন বাবু । চৈতন্য অপেরার গঙ্গা পুত্র ভিশ্ব পালায় তিনি ভগবান বিষ্ণুর চরিত্রে অভিনয় করে সকলকে অবাক করে দেন। একাধারে তাকে যেমন মন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের প্রশাসনের গুরুত্ব পূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে হয় সঙ্গে সঙ্গে তার এই যে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা সেটা এখানকার মানুষ দেখলেন ।
তিনি জানান রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লুপ্তপ্রায় অবহেলিত যাত্রাশিল্প কে আবার মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বিগত বাম আমলে এই শিল্প প্রায় ধ্বংসের পথে চলে গিয়েছিল ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর যাত্রাশিল্পীদের দুঃখের কথা মনে রেখে তিনি তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা একাডেমি । দুস্থ শিল্পীদের জন্য ভাতার বন্দোবস্ত করেছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রা শিল্পের প্রসারের জন্য তিনি নানাবিদ ব্যবস্থা নিয়াছেন।এদিন তিনি ভগবান বিষ্ণুর চরিত্বে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে গঙ্গা চরিত্রে অভিনয় করেন যাত্রা সম্রাজ্ঞী রুমা দাশগুপ্ত ।অন্যদিকে যার উদ্যোগে চন্দননগর উৎসব সেই চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন শেষদিনে তার গানের মূর্ছনায় ভরিয়ে দেয় মঞ্চ। প্রায় ১০ টি কালজয়ী বাংলা গান গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে দেন। ৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রতিদিন ছিল নানাবিধ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । বাংলার প্রথিতযশা শিল্পীরা অংশ নেন সংগীতানুষ্ঠানে । এছাড়াও প্রতিদিন ছিল নানা ধরনের আলোচনা সভা নৃত্যানুষ্ঠান ।