এই মুহূর্তে জেলা

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চরম দুশ্চিন্তায় চন্ডীতলার গভেষক অর্পণ ব্যানার্জি।

হুগলি,৪ ফেব্রুয়ারি:-  একদিকে যেমন গভেষণা সম্পূর্ণ করার তাগিদ, ছুটিতে বাড়ি ফিরে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা।  তেমনই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। কর্মস্থলে ফিরলেও আপাতত থাকতে হবে গৃহবন্দি হয়ে। তাই চরম দুশ্চিন্তায় চন্ডীতলার গভেষক অর্পণ ব্যানার্জি। গত ছয় মাস ধরে চীনের সাংহাই এর জুহুই এলাকায় জৈব রসায়ন নিয়ে গবেষনা করছেন অর্পন বাবু। পূর্বে মুম্বই আই আই টিতে সাত বছর গবেষনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাস ছয়েক আগে পাকাপাকি ভাবে পরিবার নিয়ে সাংহাই পারি দেন তিনি। চীনা নববর্ষের ছুটিতে স্ত্রী তুলিকা দেবীকে নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারী পুনরায় হুগলির চন্ডীতলা বরিজহাটির বাড়িতে ফিরে আসেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                 তার পরেই নোবেল করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা চীন উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশ জুরে জারি করে দেওয়া হয়েছে রেড এ্যালার্ট। ভাইরাস নিয়ে চরম সতর্কতা দেশ জুড়ে। চলতি মাসের ১৭ তারিখে অর্পন বাবুর চীনে ফিরে যাওয়ার কথা। তাই আগে থেকেই প্লেনের টিকিটও কেটে রেখেছেন। সম্প্রতি নোবেল করোনার বিষয়ে জেনে যথেষ্টই আতঙ্কিত অর্পণ বাবু। কিন্তু আদৌ ওই দিন ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গভেষক। এদিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চীনে যাওয়ার সমস্ত বিমান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্পন বাবু বলেন, তিনি জেনেছেন হুবেই প্রদেশের উহানে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                             সাংহাইতেও বেশ ভালোই ছরিয়েছে করোনা ভাইরাস। আতঙ্কিত হওয়ার বিষয়, এখনও পর্যন্ত ওই ভাইরাস বাহিত রোগের কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত এই ভাইরাস হাওয়ায় ছড়ায় না। তিনি মনে করেন, কিছু সাবধানতা নিলে সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সন্দেহ হলেই ১৪ দিন ইনকিউবেটিং প্রিরিয়ড বা গৃহবন্দী অবস্থায় থাকতে হবে। কারন ওই সময় কালের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় তিনি আক্রান্ত কিনা। তাই এই মুহূর্তে তিনি চীনে গেলেও তাঁদেরও গৃহবন্দী হয়েই থাকতে হবে। চীনে চলে গেলে এখনই কর্মস্থলে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়েও যথেষ্ঠ চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.