এই মুহূর্তে জেলা

প্রত্যেক বারের ন্যায় এবছরেও মাছের মেলাকে ঘিরে সরগরম হুগলী জেলার দেবনন্দপুরের কৃষ্ণপুর অঞ্চল।

হুগলি,১৬ জানুয়ারি:- প্রত্যেক বারের ন্যায় এবছরেও মাছের মেলাকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে হুগলী জেলার আদিসপ্তগ্রাম দেবানন্দপুর এলাকার কৃষ্ণপুর অঞ্চল । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীঘ ৫১৩ বছর আগে শ্রীমত রঘুনাথ দাস গোস্বামীর ঘরে ফেরাকে ঘিরে কৃষ্ণপুরে উত্তরায়ন নামে এই উৎসবের সুচনা হয় । এখানে এদিন দিনভোর নামসংকৃত্তনের পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এক বিরাট মেলা বসে । তবে এই মেলায় জিলিপি পাপড় ভাজা নাগর দোলনা থেকে মাছের আকর্ষণই বেশী বলাই বাহুল্য । নিয়ম মেনেই প্রতি বছর ১লা মাঘ এখানে হরেক মাছ বিক্রি হওয়ার সুবাদে সাধারন মানুষের কাছে এই মেলা ক্রমেই মাছের মেলা হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে । মঠ সূত্রে জানা যায় এই এলাকায় একদা জমিদার ছিলেন গোবর্ধন মজুমদার ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                      গোবর্ধন বাবুর একমাত্র সন্তান রঘুনাথ দাস পরবত্তী কালে উপাধি পেয়ে রঘুনাথ দাসগোস্বামী হয়ে ওঠেন । তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর দর্শনের জন্য পুরি ধামে যাত্রা করেন সেখান থেকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে । সেখানে এত কম বয়সে সন্ন্যাস নেওয়ার জন্য রঘুনাথ কে দন্ড হিসাবে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন । পানিহাটিতে এই দন্ড উৎসব আজও হয়ে আসছে । যাই হোক বহু দিন পর ঘরর ছেলে ঘরে ফিরে আসায় আনন্দে মাতে জমিদার বাড়ি । সেই সময়  কিছু বৈষ্ণব রঘুনাথ বাবুকে বলেন আমরা এত ডেকেও মহাপ্রভুর দর্শন পেলাম না কিন্তু তুমি এই বয়সে প্রভুর দর্শন পেয়ে গেলে । তুমি যদি সত্যই প্রভুর দশন পাও তাহলে এই অসময়ে ইলিস মাছের ঝাল আর আমের টক করে খাওয়াও ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                              বৈষ্ণবদের কথামতোন মাঘমাসে অসময়ে পুকুর থেকে ইলিস মাছ ও আম গাছ থেকে আম পেড়ে তাদের খাওয়ান । আর সাথেসাথে শুরু হয়ে যায় গ্রামবাসীদে উৎসব । শুরু হয়ে যায় মাছের মেলা । ৫১৩ বছর ধরে সেই মেলা হয়ে আসছে । ৫০ গ্রাম থেকে শুরু হয়ে ৫০ কেজি বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে হাজির হন মাছ ব্যবসায়ীরা । লাভ লোসকান যাই হোক না কেনো এক দিনের এই মেলায় জেলা তথা জেলার বাইরের মৎস ব্যাবসায়ীদের আসা চা – ই – চাই । অন্য দিকে শীতের মরশুমে এই মেলকে ঘিরে এলাকায় বনভোজনের জন্য ভিড় উপচে পরে । অর এই বনোভজনের বিশেষ আকর্ষণ এই মেলা থেকে হাতে গরম মাছ কিনে নরম গরম মাছের নানা রকম আইটেম ।

There is no slider selected or the slider was deleted.