হুগলী,১০ জানুয়ারি:- সর্ষের মধ্যেই ভুত আছে, নৈহাটি বিস্ফোরন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ নৈহাটি বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য নেতা দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার শ্রীরামপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হয়। সেই অভিনন্দন যাত্রায় হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। এছাড়াও হাজির ছিলেন, বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বোস, রাজ্য নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য্য সহ একাধিক নেতা নেত্রীরা।
এদিন ওই মিছিলে অংশগ্রহণ করার আগে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনের দায় সরকারের। তাই তারা যেন নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করুক সরকার। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, এই ধরনের ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটছে, তার পিছনে কি আছে এবং কারা আছে তার জন্য কেন্দ্রীয় কোন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত। এই ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন যুক্ত। তাই তারা আমাদের কথা শুনতে চান না। যে ব্যক্তির বাজির কারখানা একাধিকবার বন্ধ হওয়ার পরেও খুলে গেছে। যে ধরা পড়েছে। সে একজন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তাই সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে। তবু আমরা কেন্দ্রের কাছে বলব যাতে কেন্দ্রীয় কোন সংস্থাকে দিয়ে এর তদন্ত হয়। ওখানে বাজির নামে যে সমস্ত বিস্ফোরক বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে শুধু বাংলায় নয় বাংলার বাইরেও। এমনকি বাংলাদেশও হতে পারে। সেই বিষয়টাকে মাথায় রেখেই তদন্ত করা উচিত। যে সমস্ত মারণাস্ত্র সেখানে লুকোনো রয়েছে সেগুলো যেন জনসমক্ষে আনা হয়। এরপরে দিলীপ ঘোষ বলেন, সংসদে পাস হওয়া আইন মুখ্যমন্ত্রী মানতে চান না। তিনি গণতন্ত্র মানেন না। সংবিধানকে মানেন না। কোর্টকে অবমাননা করছেন। বিরোধীদের সাধারণ যে গণতান্ত্রিক অধিকার সেটাও তিনি দিচ্ছেন না।
প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে নৈহাটিতে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, নিশ্চিতভাবে আমরা এই বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যাতে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেন। এদিন শ্রীরামপুর থেকে শেওড়াফুলি পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার পদযাত্রা হয়। পদযাত্রার পর কয়েকজন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দেন।







