এই মুহূর্তে জেলা

গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতির শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে পুরোদমে, ৬তারিখ আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

গঙ্গাসাগর,৩ জানুয়ারি:- আনুষ্ঠানিক ভাবে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হতে সপ্তাহখানেক বাকি। তার আগে শুক্রবার দঃ২৪ পরগণা জেলাশাসক পি উলগানাথন এবং সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করলেন। এই মুহূর্তে মেলা প্রস্তুতির শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে পুরোদমে। গঙ্গাসাগর মেলার মূল থিম দুর্ঘটনা মুক্ত মেলা। এ দিন দেখা গেল কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গণ অবধি ঝাঁ চকচকে ৩৪ কিমি রাস্তার দু’পাশে ও মাঝখানে সাদা দাগ টানা হয়েছে। স্প্রিড ব্রেকার যেখানে রয়েছে হলুদ রঙের ফাইবারের আই-নোটিস লাগানো হয়েছে। রাতের অন্ধকারে যা আলো পড়লে উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেবে। এছাড়া বেসরকারি বাসে জিপিআরএস সিস্টেম বসানো হয়েছে। কে-ওয়ান বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ণার্থীদের জন্য বিস্তৃর্ণ এলাকা ছাউনির কাজ চলছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

মেলা চলাকালীন আগুন লাগলে দমকল যাতে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে সেইমতন কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। মেলায় হোগলা পাতার ছাউনি গুলিতে অগ্নি নিরোধক কেমিক্যাল স্প্রে করা হচ্ছে। সাগরের জলে বাঁশের সারি ভাসমান। যা ক’দিন ধরে শেষ মুহূর্তের ছাউনি ঘর তৈরির কাজ করবে। সাগরতট ও মেলার মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সাগর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক অফিস একাধিক বন্দবস্ত করেছে। এলাকার ছেলে মেয়েদের স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে মেলায় আসতে শুরু করেছেন পূর্ণার্থী। লট নং ৮ সহ বিভিন্ন জেটিতে ভিড় জমছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে মুড়িগঙ্গা নদীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্পিডবোটে রাখা রয়েছে। শুরু হয়েছে জলপথে নজরদারি। ভাটার সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার অভিযোগ করছেন পূর্ণার্থীরা। অন্যদিকে সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ শুরু হয়েছে। পাঁচ নম্বর রাস্তার কাছে হেলিপ্যাড রয়েছে। এ বছর দুটি হেলিকপ্টার থাকছে। অসুস্থ মানুষের জন্য একটি এয়ার এম্বুলেন্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া মানুষদের খোঁজে মোট সাতটি ভাষায় মাইকিং করা হবে বলে। মেলা চত্বর ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

কুম্ভ মেলা না থাকায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভালো ব্যবস্থাপনা করায় গঙ্গাসাগর মেলায় ৪০ লক্ষের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে দাবি করেছেন কপিলমুনি মন্দিরের প্রধান সত্যদেও দাস। তিনি আরও জানান, ১৫ তারিখ সকাল ৮টা ২৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির পূর্ণ স্নান। চলবে আরও ১৬ ঘন্টা। সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, ড্রোন ক্যামেরা এবং সিসিটিভি ক্যামেরায় মেলা চত্বর মুড়ে ফেলা হচ্ছে। মোট ১৫টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার মধ্যে প্রধান কন্ট্রোল রুম থাকছে গঙ্গাসাগর মেলায়। গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়াটাই এখন মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আগামী ৬ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী নিজে আসছেন গঙ্গাসাগর মেলা পরিদর্শনে। কথা বলবেন মন্দিরের সেবায়েতের সঙ্গে। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে।

There is no slider selected or the slider was deleted.