বাঁকুড়া,১০ ডিসেম্বর:- শীত পড়তেই আশার আলো দেখছেন খেজুর গুড় প্রস্তুতকারকরা ।এ মরসুমে এখনও পর্যন্ত সেরকম ঠান্ডা না পড়ায় খেজুর গুড় প্রস্তুতকারকরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ে কিন্তু গত ২দিন ঠান্ডা পড়তে তারা আশার আলো দেখছেন । কারন ঠান্ডা না পড়লে খেজুর গাছে রস তেমন আসে না, আবার সেই রসে স্বাদ ও গন্ধ তেমন মেলে না । খেজুর গুড় উৎপাদনে বাঁকুড়া জেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে ।জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে যে সব এলাকায় প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে সেসব এলাকায় গুড় তৈরীর ভিয়েন বসানো হয় ।স্থানীয় ভাষায় মহল বলা হয় ।
এই মহলের পরিচালককে বলা হয় মহলদার ।শীত পড়ার আগে থেকেই এই সব মহলদাররা খেজুর গাছের আধিক্য এলাকায় হাজির হন ।গাছের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে গাছ থেকে রস আহরনের ব্যবস্থা করে ।খেজুর গাছের ডগায় দিকে সরু নল জাতীয় রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ।নলের মুখে দড়ি বেঁধে মাটির কলসি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ।খেজুর গাছের রস আস্তে আস্তে নি:সারিত হয়ে নল বেয়ে কলসিতে জমা হতে থাকে ।সারা রাত রস জমতে থাকে, সকাল বেলা সেই রস ভর্তি কলসি নামিয়ে আনা হয় ।এভাবে এলাকার বিভিন্ন খেজুর গাছ থেকে রস ভর্তি কলসি এনে বিরাট আকৃতির কড়াইয়ে ঢালা হয় ।আগুনের জ্বালে সেই রস ফুটিয়ে ঘন করা হয়, যা ঠান্ডা হলে গুড়ে পরিনত হয় । বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল, বিক্রমপুর, মোবারকপুর, পোয়াবাগান, প্রভৃতি এলাকায় এরকম বহূ মহল বসে ।পোয়াবাগানে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত মহলদার আদিত্য বাউরি জানান শীতের তিন চার মাস ধরে গুড় তৈরী করা যায় । ঠান্ডাতে ভাল গুড় তৈরী হয়, এবছর ঠান্ডা না পড়ায় বেশ চিন্তায় আছি, তবে গত দুদিন ঠান্ডা পড়তে একটু আশা দেখা যাচ্ছে ।না হলে উৎপাদন, চাহিদা সব মার খাবে আর আমরাও দেনায় পড়বো ।