কোচবিহার,৮ ডিসেম্বর:- বেশ কয়েকদিন থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মাথাভাঙ্গা। শনিবার মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের কেদার হাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কেদারহাট বাজারে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে। কিন্তু সেই উত্তেজনা থামতে না থামতেই শনিবার গভীর রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতাকর্মীর মোট ৫টি বাড়ি ও ২টি দোকান ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল রাতের ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় মাথাভাঙা থানার আইসি প্রদীপ সরকার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার অশান্তি এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এবং এলাকায় এখনও পুলিশি টহলদারি চলছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। যদিও তৃনমূলের তোলা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুমন রায়ের অভিযোগ, কেদারহাট এলাকার কেশরী বাড়ি গ্রামের তৃণমূলের কর্মী ত্রৈলোক্য বর্মন, জয় কুমার বর্মন, বসন্ত বর্মন, বাবলু বর্মন, গৌড় নাথ বর্মন। দুজনের দোকান ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। কামিনী বর্মন এবং জগদীশ বর্মন নামে ওই দুই তৃণমূল কর্মীর দোকান ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। সুমন বাবু আরো বলেন, এরা বাড়ি ভাঙচুর আর দোকান ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত থাকেন নি, সারারাত ধরে এলাকায় বোমা বাজি অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি।
যদিও তৃনমূলের ওই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপক কুমার রায় বলেন, এই সমস্ত কাজ কর্মে বিজেপি বিশ্বাসী না, এধরণের কাজে কোন বিজেপি কর্মী জড়িত নয়। অযথা মিথ্যা অভিযোগ আনছে তৃণমূল আমাদের বিরুদ্ধে। কারন তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে সেই কারনে তারা নিজেরাই এলাকায় বোমাবাজি করে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ।