এন্টারটেনমেন্ট ডেস্ক, ৭ জুন:- আড়াই মাস পরে নতুন করে জাগছে টেলিপাড়া। পারবেন অভিনেত্রীরা মাল্টিটাস্কার হতে? যে সমস্ত নির্দেশাবলি আছে তার মধ্যে একটি, নিজেদের মেকআপ কিট থেকে হয়তো নিজেদেরই মেকআপ করতে হবে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। কারণ, সংক্রমণ রুখতে গিয়ে স্পর্শ না করে তিন ফুট দূর থেকে মেকআপ করা সম্ভব নয়। যদিও প্রোডিউসার গিল্ডের সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৩৫ জনের দলে মেকআপ আর্টিস্টরাও থাকবেন। তাঁদের পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে। শুধু মেকআপটা তাঁদের নাও করতে হতে পারে। সেটা আলোচনা সাপেক্ষ। রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের দিতিপ্রিয়া রায় বলছেন, ‘‘রানির ভূমিকায় অভিনয় শুরুর তিনমাস পর থেকেই নিজে মেকআপ করছি। ফলে, ওটা চিন্তার বিষয় নয়। মেকআপ, ফাইনাল টাচআপ করে এসেছি, করেও নেব। একজন তো ইনস্ট্রাকশনে থাকবেনই। আমার চিন্তা অন্য জায়গায়। মেকআপ আর্টিস্টদের জায়গাটা কি একটু হলেও নড়বড়ে হল? আগে ফ্লোর গমগম করত ওঁদের উপস্থিতিতে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আলাদা করে মেকআপ আর্টিস্ট। দেখভাল করার জন্য আলাদা ইনস্ট্রাকটার। এবার থেকে নিজেরা মেকআপ করলে, বাড়তি সাবধানতা হিসেবে বাড়ি থেকে সাজ সেরে এলে, ওঁদের কাজ কী থাকল?’’ জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন দিতিপ্রিয়া !!
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন আবারভাবছেন যাঁরা মেকআপ জানেন না, তাঁরা কেমন করে সব সামলাবেন? তিনি বললেন, ‘‘আমি চিন্তা করি না। ছোট থেকে কাজের দৌলতে দীর্ঘদিন নিজের মেকআপ নিজে করি। ফলে, আমার কিট আলাদা। করোনা না হলেও মেকআপ কিট সবার আলাদা থাকা উচিত। না হলে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। আমারই একবার ব্রাশ থেকে র্যাশ বেরিয়েছিল। তবে স্পেশ্যাল মেকআপের কথা আলাদা।’’ এরই পাশাপাশি ঐন্দ্রিলা মনে করছেন, ‘‘সমস্যা হবে তাঁদের, যাঁরা মেকআপ করতে পারেন না একেবারেই। তাঁদের ইনস্ট্রাকশন দিলেও মেকআপ করতে পারবেন না। ক্যামেরার চোখ কিন্তু ভীষণ সূক্ষ্ম। সামান্য ত্রুটি বিশাল ভাবে ধরা পড়ে লেন্সে। তাঁদের কী হবে? দুটো দৃশ্যের ফাঁকে অনেক সময়েই আমাদের চুল ঘেঁটে যায়। টাচআপের দরকার পরে। সেগুলো কে করবেন? আমারটা নয় আমি করলাম, অন্যদেরটাও কি আমাকেই করতে দৌড়তে হবে!’’ শুধু মেকআপ আর্টিস্টের দায়িত্ব নয়, রুম শেয়ার আর পোশাক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ঐন্দ্রিলা।