হুগলি,৩ মে:- বিবাহ বার্ষিকীর রজত জয়ন্তীতে সাধ ছিলো গ্রামের সব মানুষকে জমিয়ে ভুরিভোজ করানোর।আত্মীয় স্বজন নিয়ে হই হুল্লোর করার।করোনা মহামারি সেই সাধে জল ঢেলেছে।বলা ভালো আত্মীয় পরিজনের বাইরে বৃহত্তর অংশের মানুষকে সাহায্যের কর্তব্য নির্দেশ করেছে। সমাজের অনেক মানুষের দুবেলা ঠিক মত খেতে পাবার চিন্তা চন্ডীতলার ঘোষ দম্পতিকে একাত্ম করেছে। তাই ভুরিভোজের বিলাসিতা না করে নিজেদের বিবাহের পঁচিশ বছরের অনুষ্ঠান করলেন সাধারন মানুষের হাতে খাদ্য ও বস্ত্র তুলে দিয়ে। চন্ডীতলার বরিজহাটির বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর ঘোষ ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা ঘোষ তাদের পঁচিশতম বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের জন্য সব আয়োজন করে রেখেছিলেন।ভেবেছিলেন লকডাউন উঠে গিয়ে সব স্বাভাবিক হবে।কিন্তু দিন যায় পরিস্থির উন্নতি হয় না।কি করবেন ভাবতে থাকেন।পয়লা বৈশাখ ও পঁচিশে বৈশাখে বাড়িতে বড় অনুষ্ঠান হয় প্রতি বছর। করোনার কারনে এবারে তা বন্ধ।এর মধ্যে বিবাহ বার্ষিকীর দিনও উপস্থিত হয়।স্বামী স্ত্রী দুই ছেলের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করেন অনুষ্ঠান হবে, তবে একটু অন্য রকম। বিবাহের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এলাকার দুস্থ পরিবারগুলিকে খাদ্য ও বস্ত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।দম্পতি বলেন,যে কোনো অনুষ্ঠানই তো আনন্দ উপভোগ করার জন্য, করোনায় কেউই আনন্দে নেই সব অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। সাধারন মানুষের সামান্য প্রয়োজন মেটাতে পারাও কম আনন্দের না।।