এই মুহূর্তে জেলা

সরকারের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরলেন সঙ্গীতা, দেখতে বিধায়ক।

হুগলি, ২২ ফেব্রুয়ারি:- চুঁচুড়ায় চিকিৎসকের ‘ভুলে’ কেটে গিয়েছিল ট্রান্সভার্স কোলন (বৃহদান্ত্রের অংশ)। পেট থেকে মল বেরিয়ে আসছিল মল। চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছিল কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই পাহাড় প্রমাণ বিল দিতে না পারায় ছুটিও মিলছিল না। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি মারফত জানাতেই মিলল সাড়া। শুক্রবার রাতে সম্পূর্ণ বিল না মিটিয়েই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নিখরচায় বাড়ি ফিরলেন চুঁচুড়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাত্রপুকুরের বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের সঙ্গীতা রাউত। তিন মাস পরে অবশ্য তাঁকে বাকি চিকিৎসা করাতে হবে। শনিবার সকালে তাঁকে দেখতে ওই বাড়িতে পৌঁছলেন এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার। কথা বললেন রোগী সহ তাঁর পরিবারের সঙ্গে। বাকি চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বরে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের কর্মী সঙ্গীতার পেটের সমস্যা শুরু হয়। চিকিৎসার পরে জানা যায় গলব্লাডারে স্টোন। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। এরপর ইমামবাড়া হাসপাতালের প্রবীণ শল্যচিকিৎসক প্রকাশ সামন্তকে বাইরের চেম্বারে দেখান।

নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ কারবালা মোড়ে একটি নার্সিং হোমে সঙ্গীতার অস্ত্রোপচার করেন। ১ জানুয়ারি ছুটি হয়। দু’দিন পর থেকেই শ্বাসকষ্ট ও বমি শুরু হয়। সঙ্গীতার ছেলে অনিকেতের অভিযোগ, তখন ফের প্রকাশের কাছে নিয়ে গেলে তিনি স্বাভাবিক ব্যাপার বলে কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। ৮ জানুয়ারি ওই চিকিত্সকের চেম্বারে গেলে তিনি ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলেন। সেইমত সেখানে প্রকাশের তত্বাবধানেই সঙ্গীতাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই পেট থেকে মল বেরোনো শুরু হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হলে ২৭ জানুয়ারি তাঁকে কলকাতার নামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ট্রান্সভার্স কলোন কেটে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। শুরু হয় চিকিৎসা। শেষ পর্যন্ত সেখানে বিল হয় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু চিকিৎসা বীমার সাড়ে ৪ লাখ এবং গয়না বন্ধক দিয়ে আরও ৭ লাখের বেশি দিতে পারেনি ওই পরিবার। শেষমেষ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান সঙ্গীতার ছেলে অনিকেত। একদিনের মধ্যেই সরকার সঙ্গীতাকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির অনুলিপি পেয়ে হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরও চিকিৎসার ভুলের তদন্তে নেমেছে।