হুগলি, ১০ জানুয়ারি:- বোরো চাসের জন্য ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হল রবি মরসুমের আলু চাষ। বিঘার পর বিঘা জমি প্লাবিত। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আলু চাষে। পোলবার মহানাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মেঘসার মৌজা সহ লাগোয়া এলাকার কয়েক’শ বিঘা আলু জমি জলের তলায় চলে গেছে। জমির আল কেটে সেচ দিয়ে কোনো ভাবে সেই জল বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন চাষীরা। আলু গাছের বয়স এক মাস হয়েছে, সবে আলুর ফলন ধরা শুরু হয়েছে। এমন সময় জলে ডুবে থাকলে গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়। আলু চাষী, কাশীনাথ সামন্ত, প্রিয়নাথ কোটাল, নীলকান্ত কোটালরা জানান, গতকাল রাত থেকে ডিভির জল আলু জমিতে ঢুকতে শুরু করে। আজ সকালে তারা দেখেন বেশির ভাগ জমি জলের তলায়। অনেকেই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। এবার আলু চাষ কিছুটা দেরী করে হয়।
বীজ সারের দাম বেশি থাকায় চাষের খরচ বেড়েছে অনেকটাই। সেই টাকা কি করে উঠবে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে চাষীদের।চাষীরা চাইছেন আলু চাষের ক্ষতির পরিমান দেখে সাহায্য করুক সরকার। বোরো ধান চাষের জল ডিভিসি জল দেয়। সেই জল না জানিয়ে ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই ডিভিসির জল খাল দিয়ে ঢুকে পরেছে আলু জমিতে। চাষীরা জল আটকাতে বাঁধা দেওয়ার সময় পায়নি। মহানাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভেন্দু দাস বলেন, চাষিরা এসে আমাদের জানিয়েছে তারপর আমি গিয়েছিলাম জমিতে কি পরিস্থিতি তা দেখেছি। ডিভিসির বাঁধা ভেঙে জল ঢুকেছে। কয়েকশো বিঘে আলু জমি জলের তলায় চলে গেছে। ঋণ করে চাষিরা আলু চাষ করেছিলেন। ডিভিসি কিছু না জানিয়ে জল ছেড়ে দেওয়ায় আলু চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।
আমি বিডিও কে জানিয়েছি, এডিও কে জানিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায় তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি। ডিভিসি জল ছাড়ার কথা আমরা জানতাম না। ধানের মত আলু চাষীদেরও শস্য বীমার টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছে। ক্ষতি হলে সেই বীমার টাকার দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে পোলবার আলু চাষীদের। পোলবা ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই জানান, আলু জমি প্লাবিত হওয়ার কথা শুনেছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। কি ক্ষয়ক্ষতি হবে তা দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।