এই মুহূর্তে জেলা

“জাস্ট ওয়েট এন্ড সি”,দলে ফিরে সাফ জবাব প্রবীরের।

হুগলি, ১০ ডিসেম্বর:- মুখ্যমন্ত্রী আমাকে জয়েন করিয়েছেন এটা অন্যন্ত সম্মানের। স্থানীয় কিছু মত পার্থক্যের কারনে কিছুদিন আলাদা ছিলাম, রাজনীতির লোক তো আমি নই। তারপর সময় বলবে ‘জাস্ট ওয়েট এন্ড সি, তৃণমূলের যোগদান করে বললেন প্রবীর ঘোষাল। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রবীর ঘোষাল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কিছু কথা হয়।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রবীর ঘোষাল দীর্ঘদিনের সাংবাদিক। অনেকদিন ধরেই লেখেন আমাদের হয়ে। আমাদের বিধায়কও ছিলেন। তাকে আবার কাজ করতে বলা হলো। প্রবীর ঘোষালের ঘর ওয়াপসি হল তৃনমূলে। ২০১৬ সালে উত্তরপাড়া বিধানসভা থেকে তৃনমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। পাঁচ বছরের মেয়াদের শেষ দিকে তৃনমূলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ২১ সালের ২৬ জানুয়ারী কোন্নগর সুইমিং পুলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃনমূল ছাড়েন। পরে উত্তরপাড়া থেকেই বিজেপির প্রার্থী হন। তৃণমূলের কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন।

তারপরে বিজেপির সঙ্গে ও তার দূরত্ব তৈরি হয়। বেশ কিছুদিন রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন। তবে স্থানীয় পুরসভার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত। আজ আবার পুরনো দলে তিনি ফিরলেন। উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায় কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে। কত লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন মহিলারা ভালোভাবে নিচ্ছে না। তারপর থেকে কাঞ্চন মল্লিক কে উত্তর পাড়ায় খুব কমই দেখা গেছে। প্রবীর ঘোষাল আবার তৃণমূলে ফিরলেন, তবে কি ২৬ সালে আবারো তৃণমূল প্রার্থী তিনিই? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দলে যোগ দিয়ে কোন্নগরের বাড়িতে ফিরে প্রবীর ঘোষাল বলেন, এটা আমার কাছে বিরাট বড় গিফট। আমি তো খুব একটা বড় রাজনীতি দিচ্ছিলাম না উনি ভালোবেসে আমাকে বিদায়ক করেছিলেন কিন্তু তা নিয়েও কিছু মতবিরোধের কারণে আমাকে দল ছাড়তে হয়েছিল।

কিন্তু আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেছে আমরা একই পরিবারের সদস্য মাত্র কয়েকটা মাস একটু কথা হয়নি। বাকি সবই ঠিক আছে। উনি অনেকদিন ধরেই আমাকে যোগদান দেওয়ার কথা বলছেন। আমায় কিছু দায়িত্ব দেয়া হবে নাকি সেই বিষয়ে বুধবার তৃণমূল ভবনে আমাকে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে সেখানে কিছু আলোচনা হবে। আমার যোগদানে স্থানীয় রাজনৈতিক জগতের লোক থেকে আমার বিধানসভা কেন্দ্রের সবাই খুশি। উত্তরপাড়া আসার পর থেকে বহু ফোন এসেছে আমার কাছে। ফোন ধরতে ধরতে ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে সামনের দিনে জেলা রাজনীতিতে আমাকে দেখা যাবে নাকি সেটা এখনই বলতে পারছি না আমি রাজনৈতিক লোক নই বাকি সময় বলবে “জাস্ট ওয়েট এন্ড সি”। বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, প্রবীর বাবু ২০২১ সালে ভোটের একমাস পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন। ও গেল এখন করতেছি উনি তৃণমূলই ছিলেন।