এই মুহূর্তে জেলা

জনসংযোগে বেরিয়ে আবারও ক্ষোভের মুখে চুঁচুড়ার বিধায়ক।

হুগলি, ৬ ডিসেম্বর:- গত লোকসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় প্রায় সাড়ে আট হাজার ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। কেন মানুষের সমর্থন মেলেনি তা জানতে জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। গত ২০-২৪ নভেম্বর কোদালিয়া ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় কর্মী জন প্রতিনিধিদের নিয়ে জনসংযোগ করেন বিধায়ক। জল রাস্তা আবাস নিকাশি নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ ছিলো, বিধায়ককে সামনে পেয়ে সেই ক্ষোভ জানাতে দেখা যায় বাসিন্দাদের। মাঝে কয়েক দিন বিরতি নিয়ে আজ আবার জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। চুঁচুড়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মপার্ক এলাকায় জনসংযোগে যান।সেখানে বাসিন্দারা ক্ষোভ দেখান তাকে ঘিরে। এক মহিলা বিধায়ককে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে তাদের দুরবস্থার কথা দেখতে বলেন। পদ্মপার্ক এলাকার পুকুর পাড়ের রাস্তা ভেঙে অনেকটাই পুকুরে নেমে গেছে। অ্যাম্বুলেন্স জলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। এলাকার নিকাশি সমস্যা আছে। স্থানীয় কাউন্সিলর খোঁজ নেয় না বলেও অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান বিধায়ক আগেও কয়েকবার এসেছেন তাদের অভাব অভিযোগের কথা শুনেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উনি শুধু শুনে যান কোন কাজ করেন না। বাসিন্দা কাকলি গুপ্তা বলেন, রাস্তা পুরো ভেঙে গেছে। আমার বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান ছিল জলের গাড়ি ঢোকাতে পারিনি। বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে বলে এসেছি কোন কাজ হয়নি। উনি শুধু আসেন দেখেন চলে যান কোন কাজ করেননি।

আমরা বিধায়ককেই ভোট দিয়েছি। মিটিং মিছিলেও যাই তাও আমাদের এলাকায় কাজ হয়নি। আরেক বাসিন্দা রাজু পাল বলেন, আমাদের যাতায়াতের রাস্তা পুরো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিধায়ক কে বলা হয়েছে উনি বলেছিলেন রাস্তাটা করে দেবেন কিন্তু হয়নি। আজ আবার বলা হয়েছে। বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমি মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতেই বেরিয়েছি। তারা তাদের কথা জানাচ্ছে। এটাকে আমি ক্ষোভ বলব না। কাউন্সিলর খোঁজ নেয় না সেটা আমাকেও বলেছে। কাউন্সিলর দলের সিম্বলে জিতেছে তা যা ব্যবস্থা করার আমি করব। তবে এই এলাকার সব আমিই করেছি আগে কিছুই ছিলো না। আবারও করতে হবে। পুকুর পাড়ের রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে সেটাও আমারই করা। এটা একটা বড় কাজ। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমি সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করছি। পুকুরটা একটা ক্লাব দেখাশোনা করে। জল সেচ করে রাস্তা বাধাতে গেলে যদি বাড়ি ধসে পড়ে যায় সেই বাড়ি আমি করে দিতে পারব না। এর আগে দু নম্বর ওয়ার্ডে একটি পুকুরের জল সেচ করায় বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল সেটি গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আমি করে দিয়েছি। কাজ আমাকেই করতে হবে মানুষ তাদের অভাব অভিযোগের কথা আমাকে বলবে এটাই স্বাভাবিক।