এই মুহূর্তে জেলা

চুঁচুড়ায় কেএমডিএ গঙ্গা অ্যাকশান প্লানের লিফটিং স্টেশন তৈরীর কাজ শুরু হল ফিরহাদ হাকিমের ফোনে!

হুগলি, ২৬ সেপ্টেম্বর:- লিফটিং স্টেশন তৈরীর কাজে মাটি তোলার সময় ফাটল ধরেছিল চুঁচুড়া পিপুলপাতি কদমতলার কয়েকটি বাড়িতে। বিপদজনক হয়ে যাওয়ায় একটি পরিবারকে সরাতে হয়েছিল।আগে থেকে ব্যবস্থা না নিয়ে কাজ করায় বিপত্তি হওয়ায় বিধায়কের ধমকে কাজ বন্ধ হয়েছিল প্রকল্পের। চার দিন পর আজ কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়াররা প্রকল্প এলাকায় এসে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি গুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে জানান। এরপর আবার কাজ শুরু হয়। কেএমডিএ র কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষতির পাশাপাশি সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। বিধায়ককে ফোন করেন পুরো নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দ্রুত কাজ শুরু করার কথা বলেন। তারপরই আজ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক অসিত মজুমার। কে এম ডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাজ হয়ে যাওয়ার পরে বাড়িগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিছু বাড়ির আছে, যারা বলছেন তাদের ভিত নড়ে গেছে একটি আবাস যোজনার বাড়ি রয়েছে দেওয়ালে চির ধরেছে। সবার ক্ষেত্রে একই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সমস্ত বাড়িগুলিকেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব।মাটির ৪০ ফুট নিচে গর্ত করে কাজ করা হচ্ছে তাই বালি বেরিয়ে আসছিল তার জন্যই এমনটা হতে পারে।

বটল প্লাগিং এর কাজ শেষ হওয়ার পর ৩ মাসের মধ্যে সব আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটা পার্ট অফ গেম তবে সব সুরক্ষা নিয়েই করা হচ্ছিল। এটা ছাড়া কে এম ডি এর আর অন্য কোনো জায়গা নেই। আগের দিন অভিযোগ করা হচ্ছিল এখানে কোনো ইঞ্জিনায়ার ছিল না কিন্তু সেটা ভুল কথা এখানে সব সময় ইঞ্জিনিয়ার থাকে। যে গুলো মাইনর ক্ষতি হয়েছে সেই গুলো ঠিক করে দেওয়া হবে মেজর ক্ষতি আছে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাজ শেষে সব হলে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তার পরে আর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন আমাকে ইঞ্জিনিয়ার ফোন করেছিলেন কয়েকদিন কাজ বন্ধও ছিল। আমি তো ইঞ্জিনিয়ার নই আমি এসব বুঝিও না, আমি মানুষের হয়ে এখানে কথা বলতে এসেছিলাম। পরশুদিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। উনিও আমাকে বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজটা যাতে শুরু করা যায়। কেএমডি এর ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন যে বাড়ি যেমন ছিল তার পুরনো অবস্থায় আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এটা সরকারি কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করা হয়। ওনারা একটা লিখিতভাবে সই করে কাউন্সিলরকে দিয়ে গেছেন যে আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এইসব ধরেও আরো দু’মাস বেশি ধরা হলো আশা করা যায় পাঁচ মাসের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বললেন এটা পার্ট অফ গেম হ্যাঁ এটা ঠিকই কারণ রাস্তায় চলতে গেলেও অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। হয়ে গেছে কিন্তু তার দায়িত্ব তো সরকার নিচ্ছে। হয়তো মানুষের একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এটাও ঠিক এই প্রজেক্টটা করা দরকার। এটা গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সদস্য বরুন ঘোষাল বলেন, বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। বুঝতে পারছিনা কি হবে। যতদিন না আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ততদিন আশ্বস্ত হতে পারছি না। বাড়ির দেওয়াল বোসে যাচ্ছে তাই ভয় লাগছে।