এই মুহূর্তে জেলা

জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলনে লিড দেওয়া দেবাশীষকে সমর্থন পরিবারের।

হুগলি, ২০ সেপ্টেম্বর:- মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে অষ্টম হয়েছিল, জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশীষদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বলাগরে চোখে জল মায়ের। আজ শুক্রবার বেলা একটা নাগাদ এমনই ছবি। স্কুলে প্রথম হতো, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল তার ভালোবাসা। আঁকা, আবৃতি প্রতিযোগিতাতেও প্রথম স্থান অধিকার করতো। নাটকও ছিল পারদর্শী। ঘরের আলমারিতে থরে থরে সাজানো বই, তার পাশেই রয়েছে একাধিক সাফল্যের কৃতিত্ব। দাদাগিরির মঞ্চে গিয়েও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন দেবাশীষ। সেই ছেলেই জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখ। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত এক মাস ধরে চলেছে তাদের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের অন্যতম এক প্রতিবাদী মুখ হলেন হুগলির বলাগড়ের খামারগাছির বছরে একত্রিশে দেবাশীষ হালদার। কখনো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করা আবার বৈঠক শেষে বেরিয়েই তীব্র আক্রমণ করা।

ধরনা মঞ্চে মাইক হাতে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে স্লোগান দেওয়া সবকিছুতেই তিনি থাকতেন আন্দোলনের প্রথম সারিতে। আর তার এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে তার পরিবারও। গত ছয় মাস আগে বিয়ে হয় দেবাশীষের। তার স্ত্রী তিনিও জুনিয়র চিকিৎসক। স্বামীর সঙ্গে হাতে হাত রেখে এই আন্দোলনের সঙ্গে শামিল হয়েছে সেও। দেবাশীষের গ্রামের বাড়িতে থাকেন মা অনিমা, বাবা ক্ষিতীশ ও পিসি মিরা হালদার। ২০০৯ সালে কামারপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিলে রাজ্যের মধ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করে সকলকে চমকে দেয় দেবাশিষ। তারপর ২০১১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের রাজ্যের মধ্যে একাদশ স্থান অধিকার করে। এরপর কলকাতার মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।

বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজে অ্যনাস্হসিয়া বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তবে রাজনীতিতে সে কোনদিনও যুক্ত ছিল না, এমনটাই বলছে তার পরিবার। আর ছেলের এই আন্দোলনে গর্বিত তার বাবা-মা।আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে দেবাশীষের মা অনিমা হালদার বলেন, ছেলে ন্যায়ের জন্য আন্দোলন করছে এটা আমাদের খুব ভালো লাগছে। ছোট থেকে প্রতিবাদী না হলেও কখনো মিথ্যার আশ্রয় নিত না। সব সময় সত্যি কথা বলতো। বেশিরভাগ সময়টা পড়াশোনার মধ্যে দিয়েই কাটতো তার। তবে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় লাগে, এছাড়াও তিনি বলেন তরুণী চিকিৎসক কে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে একজন মা হিসাবে তার ন্যায্য বিচার চাই।