এই মুহূর্তে জেলা

মর্মান্তিক ঘটনা, বাড়ির লোকের সামনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না, কোন্নগরে মৃতের বাড়িতে এসে সাংসদ।

হুগলি, ৭ সেপ্টেম্বর:- কোন্নগরে মৃতের বাড়িতে এসে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা ওনাদের বাড়ির লোকের সামনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। আরজি করে নিয়ে যাওয়ার পরে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা কেউ সাহায্য করতে আসেনি। একবার বলছি এখানে জান একবার বলছ ওখানে জান। ছিল কে মা আর দিদিমা দুজনেই বয়স্ক তাকে এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে ঠেলে ঠেলে নিয়ে গেছেন। তারপরে এসে বলে ১০৬ নম্বর রুমে নিয়ে যান সেখানে গিয়ে একটা শুধুমাত্র ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে তারপরে বলছ কোথায় এক্সরে করতে হবে নিয়ে যান তারপর এক্সরে করতে গিয়ে সেখানেই মারা গিয়েছে সে। তারপরে সেখানে ডাক্তার এসেছে। ছেলেটির মা আমাকে বলেছে, দাদা বিচারটা করে দেবেন আর আমরা কিছু চাইনা। এই যে এই যে ডাক্তাদের অবহেলার জন্য আমার ছেলে চলে গেল তার বিচারটা যেন হয়। এটাতো চিকিৎকার গাফিলতির ব্যাপারটা পুরো সামনে আসছে। গরিব মানুষ বলে কি এর বিচারটা পাবে না? শুধু এলিট সেকশনেই বিচার হবে সেই বিচারেই সবাই ছাপাবে।

আমরা সবাই বিচার চাই কিন্তু এটা কেমন বিচার চাওয়ার পদ্ধতি যে একটা মৃত্যুর বিচার চাইতে গিয়ে পরপর মৃত্যু হবে তবে গিয়ে তবে তার বিচার হবে! এটাও তো একটা প্রশ্ন। এর জন্য কি কোন সমাজের স্তরের মানুষরা নামবে না, কোন গায়ক গাইকে নামবে না? কোন অভিনেতা অভিনেত্রী নাটবে না? যদি জাস্টিস ফর আরজি কর হয় তাহলে কেন জাস্টিস পর কোন্নগর হবে না। শুধুমাত্র চিকিৎসা হয়নি বলে যে সমস্ত শিশুরা জন্মেছে তাদেরও তো মৃত্যুর খবর আসছে। এর বিচারটা কি হবে। সবার অধিকার আছে, আন্দোলন করার কিন্তু তা বলে কারো জীবন কেড়ে নেবে, এটা কারো অধিকার নেই। আমি জানি আমার কথা শুনে অনেকে অনেক কিছু বলবেন তাতে আমার কিছু আসে যায় না আমি একমাত্র কণ্ঠস্বর হয়ে থাকবো।

তবু আমি বলবো এটা অন্যায় অন্যায় অন্যায়। যেই ডাক্তাররা যারা কর্মবিরতি করছে যারা তাকে পরিষেবা দেয়নি, তারা অন্যায় করলেন। আমার বিরুদ্ধে যত খুশি সমালোচনা হোক আমার কোন যায় আসে না কিন্তু আমি জানতে চাই কতগুলো শিশুর মৃত্যু হলে তবে ডাক্তারদের বিচার হবে। এই নিয়ে তো কেউ কোন মুখ খুলছে না মুখ খোলার দরকারও নেই কিন্তু আমার এই একটাই কণ্ঠস্বর থাকবে সবসময়। কালকেও তো একটা পরশুতি মহিলা মারা গেছে বিজেপি চাক্কা জামের জন্য। যদি আন্দোলনই করার হয় তাহলে সব বন্ধ করে দাও না করোনার মতনই থাকি না আমরা। শুধুমাত্র দুর্গাপূজো বন্ধ কেন ফিল্ম বন্ধ হোক ফিল্ম ফেস্টিভাল বন্ধ হোক বাজার ঘাট সব বন্ধ হয়ে যাক। শোকার্ত পশ্চিমবাংলা কেন কাজ হবে? সব বন্ধ হয়ে যাক। প্রতিবাদ একটা কিছু বন্ধ করার জন্য হয় না প্রতিবাদ হলে সব সেক্টর বন্ধ করতে হবে। চলুন আমরা করোনাতে তো চলে যাই বসে থাকি তবে বিচার হবে।