এই মুহূর্তে জেলা

দৃস্টিহীনদের জন্য এআই ভিশন ব্লাইড স্টিক আবিস্কার!

হুগলি, ১৬ জুলাই:- বাংলায় প্রবাদ আছে “অন্ধের যষ্টি” অর্থাৎ অসহায়ের সম্বল,দৃষ্টিহীনদের অবলম্বন। সেই যষ্টি যদি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই নির্ভর হয় তাহলে কেমন হয়? কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার মিলে গড়ে তুলেছেন কোনোসিমেন্তো সংস্থা, ফরাসী এই শব্দের অর্থ নলেজ বা জ্ঞান। ইঞ্জিনিয়াররা নিজেরা তো জ্ঞান অর্জন করেছেন এবার সমাজের জন্য কিছু করার ভাবনা থেকে আবিষ্কার করছেন একের পর এক জিনিস। এর আগে তারা তৈরী করেছেন র‍্যাগিং বিরোধী কিট। এবার করলেন এ আই ভিশন ব্লাইন্ড স্টিক। যে স্টিক বা লাঠির বহুমুখি কাজ। আবিষ্কারকদের দাবী, এই লাঠি দৃষ্টিহীন মানুষকে একা পথ চলতে সাহায্য করবে, ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে শুরু করে সামনে কোনো বিপদ আছে কিনা তা জানিয়ে দেবে, টাকা চেনাবে, ক্যাব বুক করতে সাহায্য করবে, একাকিত্ব দূর করতে কথা বলা গল্প করা গান, খবর শোনা যাবে এই লাঠির সাহায্যে।

দৃষ্টিহীন মানুষের একা পথ চলতে লাঠি লাগে। সেই লাঠি যদি এই আই হয় তাহলে দৃষ্টিহীন মানুষ যেন না দেখেও সব দেখতে পান।সেই ধারনা থেকেই চন্দননগরের এই সংস্থা এ আই ভিশন ব্লাইন্ড স্টিক তৈরী করেছে। প্রায় তিন মাস সময় লেগেছে এই লাঠি তৈরী করতে। পিভিসি পাইপের লাঠিতে ব্যাটারী, ক্যামেরা, সার্কিট, ব্লুটুথ স্পিকার আছে। ইয়ারপট বা যেকোনো ব্লুটুথ ডিভাইস কানেক্ট করে চ্যাট বক্সে কমান্ড দিলেই উত্তর দেবে এআই ভেডিড।ভয়েস কমান্ড দিয়ে জেনে নেওয়া যাবে সব কিছু। তরুন ইঞ্জিনিয়ার অয়ন বাগ জানান,তারা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই ব্লাইন্ডস্টিক তৈরি করেননি।দৃষ্টিহীন স্কুলে তারা স্টিক দেবেন।তাদের তৈরি স্টিক দেখে কেউ যদি বানাতে চান তারা সাহায্যও করবেন। তাদের সংস্থা বাণিজ্যিকভাবে সফটওয়্যার হার্ডওয়ার নিয়ে কাজ করলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তাদের এই আবিষ্কার। আজ চন্দননগর সুভাষ পল্লীতে এই ব্লাইন্ড স্টিকের প্রদর্শন করানো হয়।