হুগলি, ২৬ জুন:- পরনে সাদা জামা কালো প্যান্ট প্রতিদিন সকাল হলেই চন্দননগর ঘাটে দেখা যেত তাকে। পরিচয় ছিল জুনিয়ার আইনজীবী হিসেবে। আর তাকেই পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে চালান করল। ভূয়ো আইনজীবী গ্রেফতারে খুশি চন্দননগর আদালতের আইনজীবীরা। ধৃতের নাম সাহিল সেখ। বাড়ি চন্দননগরের উদ্দিবাজার এলাকায়। তাকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজে একটা ফেসবুক এ্যাকাউন্ড খুলে নিজেকে উকিলে পরিচয় দেয়। চন্দননগরে আদালতে আসা অনেককে এই ভাবে পরিচয় দিতে থাকে। চন্দননগর আদালতের বার এ্যাসোসিয়েশনের নজরে আসে বিষয়টি।
বার এ্যাসোসিয়েশন থেকে চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হলে অভিযুক্ত সহিলকে পুলিশ গতকাল রাতে প্রথমে আটক করে। এরপর যথাযত কাগত পত্র না দেখাতে পারায় তাকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে অভিযুক্ত কে চন্দননগর আদালতের পেশ করা হয়। চন্দননগর বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ পাল জানান, আমার সহকর্মীরা আমাকে কিছুদিন আগে জানায় যে ফেসবুকে একজন জুনিয়ার ল’ইয়ার চন্দননগর কোর্ট লিখে প্রচার করছে। আমি তাদের থেকে ঘটনাটা শুনে নিজে ফেসবুকে গিয়ে দেখি যে ছেলেটি এই প্রচার করছে সে কোন রকম উকিল বা মহুরি কিছুই নয়। তারপর দেরি না করে আমি তাকে ডেকে পাঠাই চন্দননগর কোর্টে।
সে প্রথমে ফেসবুকের অ্যাকাউন্টটা তার নয় বলে অস্বীকার করে কিছুক্ষণ বাদে স্বীকার করে এটা তার অ্যাকাউন্ট এবং বলে ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দিতে। কিছু জিনিসের ক্ষমা হয় না তাই চন্দননগর থানার আইসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানাই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে কোর্টে তোলা হলে কোন আইনজীবী তার হয়ে মামলা লড়েনি। জানতে পেরেছি ছেলেটি চন্দননগর কোর্টের একজন মুহুরির কাছে যাতায়াত করতো সেই মুহুরির মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেটি আর আসতো না। কিছুদিন যাবৎ তাকে আবার কোর্টে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। শুধু হুগলি জেলা নয় হুগলি ছাড়াও নদিয়া ব্যারাকপুর বিভিন্ন কোর্টে এই রকম ভূয়ো উকিল ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করা দরকার।