এই মুহূর্তে জেলা

খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির কালীপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস।

হুগলি, ১০ নভেম্বর:- খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান জনশ্রুতি ও ইতিহাস। ৫০২ বছরে ধরে রীতি মেনে ভট্টাচার্য বাড়ির দক্ষিণা কালীর পুজোপাঠ হয়ে আসছে। কথিত আছে, ৫০২ বছর আগে রাধাবল্লভপুরে সন্ধেবেলা একটি মেয়ে কালীমন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ দেখাতে এসে অদৃশ্য হয়ে যায়। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে মন্দিরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয় মা কালীকে বনে রেখে আসা হবে। মন্দিরের পাশে বিশাল কচু বনে মাকে ফেলে আসা হয়েছিল। তার কিছুদিন পর খানাকুলের কৃষ্ণনগরের এক বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ পান।

তিনি মা কালীকে আবার উদ্ধার করে দক্ষিণা কালী রূপে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই থেকে রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। এই বিষয়ে পরিবারের সদস্য সৌরভ ভট্টাচার্য জানান, এই কালী মাকে প্রথম জমিদার বংশের লোকেরা পুজো করতেন। এখানে পঞ্চমুণ্ডের আসনে বসে মা কালীর পুজোপাঠ হয় এবং সারা বছর পঞ্চমুণ্ডের বেদীটি জলে ভিজে থাকে। তাই বংশধরেরা মনে করেন এই মায়ের আসনের সঙ্গে মা গঙ্গার যোগাযোগ আছে। ভট্টাচার্য পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, পুজোর সমস্ত কাজ পুরুষরাই করে থাকে। মহিলাদের গর্ভগৃহে গিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সব মিলিয়ে মায়ের পুজোয় যাতে কোন‌ঝ খুঁত না থাকে সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখে ভট্টাচার্য পরিবার। আর বৈদিক রীতি মেনে সমস্ত নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে মা কালীর পুজোর প্রস্তুতি চলছে খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়িতে।