কলকাতা, ২৪ আগস্ট:- সাগর দ্বীপে ভাঙন রোখার পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হবে। কপিল মুনি আশ্রমের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন।শুক্রবার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী ও সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। সেখানে সাগরকে ভাঙন মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির মন্দির রক্ষা করার জন্য জাপানি মডেলে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করে পাইলট প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছিল সরকার।
এই প্রোজেক্টে টেট্রা ব্যাগে বালি ভরে পাইলেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। এই সেচ দফতরের তরফে এই কাজ করা হয়েছিল। তারপরেই আধিকারিকরা ভেবেছিলেন কপিল মুনির মন্দিরের সামনে সমুদ্রের পাড় আর হয়তো ভাঙবে না। কারণ বড় বড় উন্নতমানের চটের ব্যাগের মধ্যে বালি ভরে সমুদ্রের ঢেউ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পাইলট প্রজেক্ট সমস্তটাই সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এবার আবার কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন পাড় বা গঙ্গাসাগর রক্ষা করার জন্য নতুন করে পাইলট প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়াররা। আজ শনিবার এই লক্ষ্যে সেচ দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকরা সমুদ্রগর্ভের এলাকা ঘুরে দেখেন।