হুগলি, ১৮ জুন:- একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছেলেকে চার পাঁচ জন যুবক মিলে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছে। লাঠি দিয়েও মারা হচ্ছে ওই ছেলেটিকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘটনাটি চন্দননগরের বড়বাজারের। সেখানে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের উল্টো দিকের একটি চায়ের দোকানে শনিবার সকালে এক ব্যক্তি ১৫ টাকার চাপ বিস্কুট খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাচ্ছিল। দোকানদার পয়সা চাইলে পয়সা না দিয়ে উল্টে গালিগালাজ করা হয় বলে দাবি দোকান মালিকের। এরপরই শুরু হয় মারধর। রাস্তায় ফেলে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে। মারধর যখন চলছে তখন বেশ কিছু লোকজন নাটক দেখার মত করে চারিদিকে দাঁড়িয়ে আছেন। ওই আক্রান্ত যুবককে বাঁচাতে কেউই এগিয়ে আসছেন না। কিছুক্ষণ এইভাবে মারধর চলার পর খবর যায় অনতিদুরের চন্দননগর থানায়। থানা থেকে পুলিশ এসে ওই প্রহৃত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে। যদিও যে যুবকরা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে এইরকম পাশবিকভাবে মারধর করল তাদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে চুলের মুঠি ধরে বেধরক মার মারা হচ্ছে।আসে পাশে অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন কেউ ছাড়াতে আসেন নি।খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ঘটনা চন্দননগর বড় বাজার এলাকার, চন্দননগর থানা থেকে একশো মিটারের মধ্যে। শনিবার সকালে চন্দননগরের অভিজাত ও এলাকা বড়বাজারের একটি নার্সিংহোমের বিপরীতে চায়ের দোকানের সামনে এই ঘটনা। আশরাফ মল্লিকের চায়ের দোকানে এক যুবক এসে পনেরো টাকার চা বিস্কুট খায়। টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ায় চেষ্টা করে। দোকানে তখন আশরাফ ও তার ছেলে আকিব ছিলেন। তাদের দাবী টাকা চাইতেই আকিবকে গালাগাল দেয় ওই যুবক। এতেই মেজাজ চরে যায় আকিব ও তার বন্ধুদের। তিন চারজন মিলে যুবককে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারতে শুরু করে। স্টিক দিয়েও মারা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা দেখছিলেন অনেকেই। কেউ ছাড়াতে এগিয়ে আসেনি। কাছেই চন্দননগর থানা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে যুবককে উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত যুবকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।