এই মুহূর্তে জেলা

খুনের ১২ বছর পর অভিযুক্তর যাবজ্জীবন, চুঁচুড়া আদালতে।

হুগলি, ১৩ মার্চ:- খুনের ঘটনার বারো বছর পর অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা হুগলি জেলা আদালত। সোমবার হুগলি জেলা আদালতের স্পেশাল পিপি কালি প্রসাদ সিংহ জানান, ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০১১ সালের ২৯শে জুন রাত আটটা নাগাদ মগরা থানার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া কলবাজার এলাকায়। বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন শিবপুর ইসলামপাড়া বাইলেনের বাসিন্দা কেতাবউদ্দীন। তখন কুখ্যাত সমাজ বিরোধী ধানুয়া ওরফে মহম্মদ মুক্তার দলবল নিয়ে চড়াও হয় কেতাবউদ্দিনের উপর। ছাড়ানোর চেষ্টা করলে পাইপগান দিয়ে কেতাবউদ্দিনের কানের পাশে গুলি চালায় ধানুয়া। গুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে আসে।

তাড়া করে ধানুয়া এবং তার সঙ্গীদের ধরার চেষ্টা করলে ধানুয়া গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কেতাবউদ্দিনের। কালি বাবু জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই ধানুয়া এ রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যায়। তদন্তে নেমে মগরা থানার পুলিশ উত্তর প্রদেশের ফরিদাবাদের এক হোটেল থেকে ধনুয়াকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলায় মত আঠারো জন সাক্ষ্য দেয়। কালি বাবু জানিয়েছেন, ইতিপূর্বেই ধানুয়া আরও আটটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। তাই অভিযুক্ত ধনুয়াকে জেলে রেখেই বিচারপর্ব শেষ করা হয়। গত ৬ই মার্চ ২০২৩ তারিখে হুগলির প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ সঞ্জয় কুমার শর্মা অভিযুক্ত ধানুয়াকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এদিন মাননীয় বিচারক ধানুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাজা পাওয়ায় খুশি কেতাবউদ্দীনের পরিবার থেকে কলবাজারের বাসিন্দারা।