কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি:- বৃহস্পতিবার ছিল বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের উপর আলোচনার প্রথম দিন। বুধবারই ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রথম দিনেই ‘ভোটমুখি প্রচার সর্বস্ব’ বলে বাজেটের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। এদিনও বাজেটের উপর আলোচনাকে কেন্দ্র করে সরকার পক্ষ ও বিরোধী দলের মধ্যে তরজায় অধিবেশন কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি সদস্যরা বাজেটকে ভোটমুখী প্রচার সর্বস্ব বলে তীব্র সমালোচনা করেন। আলোচনার সূচনা করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা বিজেপি সদস্য অশোক লাহিড়ী বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, এটি শুধুমাত্র ঘোষণার বাজেট। রাজ্য সরকার ভোট পাওয়ায় জন্য মরিয়া ভাবে নতুন নতুন অর্থ সহায়তার প্রকল্প ঘোষণা করে চলেছে যাতে রাজকোষ ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্যের রাজস্ব আদায় কমছে অথচ ব্যয় বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সরাসরি অর্থ সহায়তার প্রকল্প গুলি কতদিন চালানো যাবে তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেটে কোনও উল্লেখ যোগ্য ঘোষণা নেই বলে অভিযোগ করে অশোক বাবু সরকারকে মেলা খেলায় খরচ কমিয়ে মূলধনী ব্যয় বাড়ানোর পরমার্শ দিয়েছেন। বিজেপি সদস্য নীলাদ্রিশেখর দানা সরাসরি অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বাজেট হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বিভিন্ন প্রকল্পে যে টাকা দিয়েছে তাতে কাজের কাজ হয়নি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এ রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে পাল্টা বাজেট প্রস্তাবের সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমীর কুমার জানা কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে রাজ্য বাজেটের তুল্যমূল্য আলোচনা করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের হাতে সরাসরি নগদ অর্থ তুলে দিতে চেয়েছেন। এতে রাজ্যের মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন।তৃণমূল কংগ্রেসের বীণা মন্ডল, সপ্তর্ষি ব্যানার্জি, বিজেপির বিশ্বনাথ কারক শংকর ঘোষ প্রমুখও বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। আগামীকালও বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের ওপরে আলোচনা চলবে। তিনদিনের আলোচনা শেষে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বাজেট জবাবি ভাষণ দেবেন।