এই মুহূর্তে জেলা

২৮০ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের শিলান্যাস হলো হাওড়ার ঘুসুড়িতে।


হাওড়া, ২১ জানুয়ারি:- উত্তর হাওড়ার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীকে মান্যতা দিয়ে ঘুসুড়ির নস্করপাড়া অঞ্চলে আগামী ২ বছরের মধ্যে গড়ে উঠতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত সালকিয়া পানীয় জল শোধনাগার। কেএমডিএ এবং হাওড়া পৌরনিগমের যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকালে এই পানীয় জল শোধনাগারের শিলান্যাস হয়। দৈনিক প্রায় ১৫.৫ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন এই জলপ্রকল্পের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, হাওড়া পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, কমিশনার ধবল জৈন, প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রিওয়াজ আহমেদ, বাপী মান্না, অনুপ চক্রবর্তী, মনজিৎ রাফেল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এদিন পরে সাংবাদিক বৈঠকে পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, আজ হাওড়াবাসীর কাছেও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঘুসুড়ির নস্করপাড়ায় সালকিয়া পানীয় জল শোধনাগার প্রকল্পের আজ শিলান্যাস হলো।

এটা মোট ২৮০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প। হাওড়ার মানুষের জলকষ্ট দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশাল প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিলেন। শিলান্যাসের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ আজ থেকেই শুরু হলো। এই প্রকল্পের কাজ আগামী ২ বছরের মধ্যে শেষ করা গেলে আগামী প্রায় ২-৩ দশক উত্তর হাওড়া এবং বালির কিছু অংশে (পুরাতন বালির বিন্যাস অনুযায়ী প্রায় ৬টি ওয়ার্ড) আর জলকষ্ট থাকবে না। বর্তমানে আমাদের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বলতে শুধু পদ্মপুকুর রয়েছে। সেই কারণে পদ্মপুকুর ওয়াটার প্ল্যান্টের উপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। নস্করপাড়ার সালকিয়া ওয়াটার প্ল্যান্ট আগামী দিনে তৈরি হয়ে গেলে পদ্মপুকুরের উপর থেকে চাপ অনেকটা কমবে। সেক্ষেত্রে মধ্য হাওড়া, শিবপুর, দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা এলাকার মানুষকে আমরা আরও বেশি করে জল সরবরাহ করতে পারব। নস্করপাড়ার সালকিয়া ওয়াটার প্ল্যান্ট আগামী দিনে তৈরি হয়ে গেলে সালকিয়া, উত্তর হাওড়া, বালির কিছু এলাকা তখন সেল্ফ সাফিসিয়েন্ট হয়ে যাবে। এই প্লান্ট হয়ে গেলে গ্রীষ্মকালে সামগ্রিক হাওড়া শহরের জলকষ্ট মিটে যাবে।