হাওড়া, ৩ অক্টোবর:- সোমবার মহাষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পূজা সম্পন্ন হলো চিরাচরিত রীতি মেনেই। এদিন সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহাষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় কুমারী পূজা। তবে গত ২ বছর কোভিড পরিস্থিতিতে বেলুড় মঠের কুমারী পুজোয় সাধারণ ভক্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার ছিলনা। ওই সময় অতিমারীর কারণে পূজা এবং আনুষঙ্গিক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে, এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। তাই এবার সাধারণ ভক্ত দর্শনার্থীদের মঠে অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে।
কুমারী পুজো দেখতে হাজির ছিলেন বহু মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন। সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। উমা রূপে পুজো করা হয় তাকে। শ্রীশ্রীঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয়। এদিন কুমারী পূজায় উপস্থিত ছিলেন মঠের সংঘাধ্যক্ষ মহারাজ সহ বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরাও। উল্লেখ্য, এবার কুমারী হিসেবে নির্বাচিত হন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা আরাত্রিকা রায়। বাবা কল্যাণ রায় এবং মা বাসন্তী রায়। কুমারীর বয়স ৫ বছর ২ মাস বলে মঠ সূত্রের খবর।