কলকাতা, ১৮ জুন:- ইলিশের পরে এবার আম। বড় বোন আম পাঠালেন ছোট বোনকে। সুদৃঢ় হল দুই বাংলার সম্পর্ক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আম্রপালি’আম পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছর থেকেই ‘আমদৌত্য’ শুরু করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই সূত্রেই গতবছরও মমতাকে আম পাঠিয়েছিলেন হাসিনা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে শুধু মমতাকেই নয়, হাসিনা আম পাঠিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকেও। তবে মমতাকে পাঠানো আমের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অবশ্যই বোন মমতার প্রতি দিদি হাসিনার আন্তরিক ভালবাসাও। দুই বাংলার দুই নেত্রীর এই সম্পর্কে কোনওদিন রাজনীতি বা কূটনীতি কিংবা কোনও ঘটনা বা দাবিদাওয়া ছাপ ফেলতে পারেনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উঁচু-নীচু পথে এগোলেও হাসিনা-মমতার সম্পর্ক এক রয়ে গিয়েছে। হাসিনা মমতাকে পছন্দ করেন বহু আগে থেকেই।
মমতা যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন থেকেই হাসিনার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। কূটনীতি, প্রথাকে দূরে সরিয়ে রেখে বার বার হাসিনা ধরা দিয়েছেন মমতার কাছে। এমনকি হাসিনার ভারত সফরে কলকাতায় এসে মমতাকেও আলাদা করে সময় দিতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। আর প্রতিবার সেই সাক্ষাতে মমতার জন্য যেমন উপহার আনতে ভোলেন না হাসিনা তেমনি মমতাও তাঁকে উপহার দিতে ভোলেন না। তিস্তার জলবন্টন চুক্তি নিয়ে কিছুটা জটিলতা অবশ্য তৈরি হয়েছিল দুই বাংলার মধ্যে। কিন্তু বিচক্ষণ হাসিনা এপার বাংলায় পদ্মার ইলিশ রফতানির ক্ষেত্রে কিছুটা রাশ টানলেও মমতার প্রতি তাঁর ভালবাসাকে দূরে ঠেলে দেননি। ভারেত্র যে কোনও নেতানেত্রীর থেকে মমতার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হাসিনার কাছে। তাই ভারত সফরে এলে মমতার জন্য সময় বার করতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। দুই বোনের হাতধরে তাই দুই বাংলার সম্পর্কও তাই সুদৃঢ় হচ্ছে।