এই মুহূর্তে জেলা

সিঙ্গুরে ছড়িয়েছিলেন সরষে এখন বোঝা যাচ্ছে তার মধ্যেই ভূত ছিল শ্রীরামপুরে বিস্ফোরক মোহাম্মদ সেলিম।


হুগলি, ২ জুন:- সিঙ্গুরে সরষে ছরিয়েছিলেন এখন বোঝা যাচ্ছে সরষের মধ্যে ভূত ছিল। আমাদের অনেক লোকো দেবতা আছে, অনেক আধুনিক দেবতাও আছে। উনি সন্তোষীমার আশ্রয় নিচ্ছেন। এক একটা দেব দেবী আছেন যারা বর দান করেন। আবার অনেক দেবতা আছেন যারা পরিত্রান বা সংকট মোচন করেন। বোঝা যাচ্ছে উনি বিপদে পরেছেন। আমরা চেয়েছিলাম সিঙ্গুরে কারখানা হোক। এখন বিজেপি বলছে গোটা দেশজুড়ে মন্দির হোক তৃণমূলই বলছে মন্দির হোক। এখন বোঝা যাচ্ছে শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং মন্দিরে বেশি রোজগার। উনি বলেছিলেন তিন ফসলি জমিতে শিল্প করা যাবে না।আর এখন জেসিবি লাগিয়ে মাটি কাটছেন তাও ভালো যদি মাছ চাষ হয়। হিন্দমোটরে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কারখানা নিয়ে মৌ স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বলেন, হাইকোর্টে স্টে অর্ডার রয়েছে।তা সত্ত্বেও কারখানা থেকে যন্ত্রপাতি সমস্ত সরানো হচ্ছে রাজ্য সরকার কি করেছে।এখন বলছেন ইলেকট্রিক গাড়ি হবে। এটা আসলে সিঙ্গুরে হতে পারত। গুজরাটের সানন্দে সবথেকে বড় তৈরি কারখানা রয়েছে। হিন্দুস্থান মোটর ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কোন ছাড়পত্র এখনো নেয়নি।

অভিষেকের চোখ দেখাতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এই প্রথম কেউ দুবাই চোখ দেখাতে যাচ্ছে। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কি হতে পারে যাকে যুবরাজ সাজানো হচ্ছে তাকে কোর্ট বলছে যদি চোখ দেখাতে যদি বিদেশে যেতে চাও, হোটেলের নাম, ফোন নম্বর টিকিটের জেরক্স পাসপোর্টের কপি সব জমা দিয়ে যেতে হবে। এরা পালাবে কি পালাবে না সে সম্পর্কে কোর্ট পর্যন্ত সন্দিহান আছে। সাধারন মানুষকে নিশ্চয়তা কি দেবে। কে কে মরেনি বলুন তো? বাংলার শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সবাই মৃত্যুর পথে যাচ্ছে। তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর বলল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ থাকবে না।তাহলে ছাত্র সংসদ ফেস্ট করছে কি করে? কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা কর্তৃপক্ষ তারা টাকা তুলে দিচ্ছেন। যেমন তোলা দেয় তেমন স্পন্সর করছে। তৃনমূল ছাত্র পরিষদ আগেও এমন অনুষ্ঠান করেছে যেখানে তৃনমূল নেত্রী নায়িকা গায়িকা অভিযোগ করেছেন শ্লীলতাহানীর।

তৃনমূল ছাত্র পরিষদের এখন যে সভাপতি সে শঙ্কুদেব পান্ডার উত্তরসূরী। তৃনমূলে হাত পাকিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবে। ভেজাল যেমন টাকা তেমন ভেজাল কার্ড তৈরি হয়েছে অনুষ্ঠানের আগেই নকল কার্ড বিক্রি হয়ে গেছে সে গুলোকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়নি কেন? ওটা একটা সরকারি সংস্থার হল। তাহলে আটকানো হয় নি কেন?মাতাল হয়ে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র থেকে এভাবে গ্যাস ছড়ানো হল কেন? শিল্পী বলছে গরম তারপরেও তৃণমূলের যা কালচার মঞ্চে দুদিকে একগাদা লোক উঠে পড়েছিল। কেকের মৃত্যুতে খুনের মামলা রুজু করা দরকার। কে কত বড় শিল্পী কে কলকাতার কে মুম্বাইয়ের সেই বিতর্কে যাচ্ছিনা। কিন্তু আজকে আমাদের রাজ্যের শিল্প শিল্পী,সাহিত্য সাহিত্যিক, খেলা খেলোয়াড়দের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।

তৃনমূল সবেতেই তোলাবাজি করছে।নজরুল মঞ্চে খেলা হবেতে প্রাণ গেছে।বাংলার সকল শিল্পীকে বলবো শোক পালন নয় বাংলার শিল্প এবং শিল্পীদের বাঁচাতে হবে। এইমস এ নিয়োগ দূর্নীতি প্রসঙ্গে সেলিম, যে ভাবে নিয়োগে দূর্নীতি হচ্ছে তাতে তৃনমূল বিজেপি তফাত কিছু নেই। এইমসের নিয়োগ বেআইনি। আর সেখানে সরাসরি যুক্ত দুই সাংসদ। তৃনমূলে যারা দূর্নীতি করে তারা বিজেপিতে যায় আর যারা বিজেপিতে দূর্নীতি করে তারা তৃনমূলে যায়। হুগলিতে দুদিনের জেলা কমিটির সভা শুরু হয়েছে আজ।আগামী কাল পর্যন্ত চলবে।কাল বিকালে শ্রীরামপুর রবীন্দ্র ভবনে হবে কর্মিসভা।সন্ধায় হবে অর্থ সংগ্রহ অভিযান।সামনে পঞ্চায়েত ভোট জুন মাস জুরে চলবে জনসংযোগ কর্মসূচী।