এই মুহূর্তে জেলা

পুকুর ভরাটের অভিযোগ , ভরাটকারীকে প্রকাশ্যে ধমক বিধায়কের।

হুগলি, ১৪ এপ্রিল:- দলীয় নেতার কা্ছ থেকে পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়ে সরেজিমিনে পরিদর্শন বিধায়কের। অভিযুক্তকে ডেকে প্রকাশ্যে ধমক দিয়ে সাত দিনের মধ্যে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক। ঘটনাটি হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল সরনি এলাকার। ওই এলাকাতেই একটি পুকুর রয়েছে। অভিযোগ পুকুরের পাশের প্লটের মালিক তথা ওই এলাকার বাসিন্দা বিপদ তারন দাস পুকুরটির একাংশ ভরাট করে রাস্তা বের করছিলো বলে অভিযোগ। বুধবার চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব অধিকারীর কাছ থেকে এই খবর পেয়ে

ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিধায়ক অসিত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অর্পিতা সাহা, তৃণমূল নেতা দেবাশীষ মুখার্জী সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেলো পুকুরটির একাংশে ইট-খোয়া ফেলে ভরাট করা হয়েছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিধায়কের। সঙ্গে সঙ্গেই ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত বিপদ তারন দাসকে। বিধায়ক রিতীমত ধমকের সুরে আগামী সাত দিনের মধ্যে পুকুরের ওই অংশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিপদ তারনবাবুকে। অভিযুক্ত ব্যাক্তিও এদিন ওই অংশ ভরাট করার কথা স্বীকার করে নেন।

তবে বিধায়কের পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সরব হওয়া নতুন নয়। এর আগেও ঘটনাস্থলে পৌঁছে শহরের বহু পুকুর ভরাট বন্ধ করেছিলেন বিধায়ক। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ সবই লোক দেখানো। বিধায়ক যে পুকুরগুলি ভরাট করা বন্ধ করেছেন সেইসমস্ত পুকুরগুলি কোনদিনই আগের অবস্থায় ফেরানো হয়নি। যদিও এবিষয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য আমি যাওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিষয়টি আইনের হাতে চলে যাওয়ায় আমি আর হস্তক্ষেপ করতে পারছি না।