এই মুহূর্তে জেলা

জমা জল থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দেওয়াকেই ইস্যু করে পুরভোটের ময়দানে শাসক বিরোধীরা।

হুগলি, ২৫ ফেব্রুয়ারি:- একবার বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পরে ডানকুনি পুরসভার বিস্তৃর্ণ ওয়ার্ড। জমা জলের যন্ত্রনায় ভুক্তভোগী শহরবাসীকে মুক্তি দেওয়াকেই ইস্যু করে পুরভোটের ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসক বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ডানকুনিতে জলাশয় বুজিয়ে রেল কারখানা নির্মান করে। সেই কারণেই শহরের জল নিকাশি থমকে গিয়েছে বলে দাবি সিপিএমের। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি কর্মসংস্থানের কারণেই রেলের কারখানা তৈরী করা হয়েছে। জল নিকাশির জন্য মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ২০০৯ সালে মগালা,মনোহরপুর ও ডানকুনি পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত হয় ডানকুনি পুরসভা। কলকাতা লাগোয়া গোটা পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ২১টি। হুগলি শিল্পাঞ্চলের অন্যতম শহর ডানকুনিতে একাধিক ছোট বড় মাঝারি কলকারখানার মতো ডানকুনি কোল কমপ্লেক্স ও রেলের মতো বড় কারখানা শহরের অন্যতম ল্যান্ড মার্ক।প্রায় ৮০হাজার ভোটদাতার মধ্যে মিশ্র ভষাভাষী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা রয়েছেন।২০১৫ সালে পুরভোটে তৃণমূল ১১টি।সিপিএম ৮টি


There is no slider selected or the slider was deleted.

কংগ্রেস ও নির্দল ১করে আসনে জয়ী হয়।পরে নির্দল ও কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন।তবে তৃণমূল পুরসভার দায়িত্বে থাকলেও বেহাল নিকাশী ও জমা জলের যন্ত্রনা থেকে পুরবাসীদের রেহাই মেলেনি বলেই এবারে সেই সমস্যাকেই প্রধান ইস্যু করেছে সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীরা।বিরোধীদের অভিযোগ রেলের কারখানা তৈরির সময় জলাশয় বুঝিয়ে দেওয়া হয়।তার পরিবর্তে জল নিকাসীর জন্য যে পাইপ লাইন বসানো হয় তাতে ডানকুনি শহরের জল নিকাশি দূর অস্ত।সেই কারণেই অল্প বৃষ্টি হলেই শহরের একাংশ জলের নীচে চলে যায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্‍্য্য সেন নগর,নতুন পল্লী,২০ নম্বর ওয়ার্ডের সারদা পল্লী,বিদ্যাসাগর পল্লী,১৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন পল্লী ও উত্তর দক্ষিণ।৯ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর সুভাষ পল্লী,১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুভাষ পল্লী ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাশা জল মগ্ন হয়ে পড়ে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএম প্রার্থী মনোজ গায়েন বলেন, বৃষ্টির জমা জল ও ভেঙে পড়া নিকাশী আমাদের প্রধান ইস্যু।

There is no slider selected or the slider was deleted.

এ ছাড়া বাইগাছি খাল ,রাইমনি ঝড়া খাল সংস্কারের আশু প্রয়োজন। বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।পুরসভায় নিয়োগ দুর্নিতী ও আমাদের অন্যতম ইস্যু। নির্দল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মিত্রের অভিযোগ ডানকুনি খাল সংস্কার করা হয়নি।এ ছাড়া পাইপ লাইনের কাজ করা হয়নি।ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারপার্সন বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, নিকাশীর জন্য মাষ্টার প্ল্যান তৈরী করা হয়েছে।উত্তরপাড়া থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।৭টি নতুন জলট্যাঙ্ক তৈরীর কাজ চলছে।কয়েক কাঠা জমি নিয়ে পুরসভার ভবন নির্মানের প্রকল্পর কাজ ও শুরু হবে।বিধায়ক স্বাতী খন্দকার বলেন, একসময় যানজট ডানকুনির মাথা ব্যাথা ছিল।আমাদের মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ডানকুনি ওভারব্রীজ নির্মান করে যানজট দূর করেছেন।এ ছাড়া ফায়ার ব্রিগেড তৈরী করা হয়েছে।রাস্তা ঘাট,কবরস্থানের আমূল সংস্কার করা হয়েছে।শহরের আয়তন বাড়ছে।তাই পুর পরিষেবা জোরদার করতে একটু সময় লাগবে।