হাওড়া, ১৯ জানুয়ারি:- প্রায় বছর পনেরো ধরে ঘরছাড়া বাবাকে অবশেষে ফিরে পেল পরিবার। আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগেকার ঘটনা। গত ২০০৭ এর ডিসেম্বরে পঞ্জাবে কাজে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নিউ জলপাইগুড়ির মালবাজারের টি এস্টেটের শ্রমিক চম্পা ওঁরাও। এর মাস তিনেক পর ওই তিনি বাড়িতে যোগাযোগ করে জানান তিনি সেখানে একটি জমির ক্ষেতে ট্রাক্টর চালানোর কাজ করছেন। সেই শেষবার। এরপর থেকে আর তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি বাড়ির লোকেদের। তিনি কার্যত তখন থেকেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। বহু চেষ্টা করেও তাঁর খোঁজ পায়নি পরিবার। এদিকে, গত কয়েকদিন আগে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভবঘুরেদের সঙ্গে দেখেন এলাকার মানুষ।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি বি এন পাঠক প্রতিদিন ভবঘুরে মানুষদের খাবার-দাবার দিতে আসার সূত্রে লক্ষ্য করেন ওই ব্যক্তি খুব অসুস্থ। কথা বলার মতো বা উঠে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা তাঁর নেই। এরপর সৌরভ দাস নামের স্থানীয় এক চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁর শুশ্রূষা করা হয়। মহঃ সাকিল নামের এক রিক্সাচালক নিজে এগিয়ে এসে ওনাকে সেবা শুশ্রূষা করেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে ওই চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে কথা বলে তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। তিনি শুধু নিজের বাড়ি মালবাজারে জানাতে পারেন এবং তার ছেলের নাম কিরণ ওঁরাও বলতে পারেন। এই সূত্র ধরে ওই চিকিৎসক মালবাজারে এক পরিচিতের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। বিভিন্ন সূত্র মারফত এরপর মালবাজার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই ব্যক্তির ছবি পাঠিয়ে পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। এরপর বুধবার সকালে তাঁর ছেলে কিরণ ওঁরাও এসে বাবাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। গোটা ঘটনায় খুশি তার পরিবার। ১৫ বছর পর হারিয়ে যাওয়া বাবাকে ফিরে পেয়ে খুশি কিরণ।