এই মুহূর্তে জেলা

ভারতের সেরা মহিলা চাষীর সম্মানে সম্মানিত অনিমা, মাশরুম চাষে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন অন্যান্য মহিলাদের।

 

প্রদীপ সাঁতরে,২৪ ফেব্রুয়ারি:-   ভারত সেরা মহিলা চাষির সম্মানে সম্মানিত চোপড়ার অনিমা সরকার মাশরুম চাষে নতুনভাবে দিশা দেখাচ্ছেন। এই চাষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি শুধু যে মাশরুম উৎপাদন করা তাও নয় বরং মাশরুমকে প্রক্রিয়াকরণ করে কিংবা মাশরুমকে কাজে লাগিয়ে তা দিয়ে তৈরি করছেন নানান খাদ্য সামগ্রী। তৈরি করছেন আচার, পাপড়, জেলি, বিভিন্ন প্যাকেটজাত দ্রব্য এবং তা বিক্রি করছেন। চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধন্দু গছ এলাকার বাসিন্দা অনিমা সরকারের জানান, এর আগে তার ছিল পোল্ট্রি ফার্ম। ফার্মের জন্য যে দুর্গন্ধ তৈরি হতো তাতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল এলাকার বাসিন্দারা। এই সমস্যার জন্য সেটি বন্ধ করে দেন। সেই সময় একটি বিকল্প আয়ের রাস্তা খুঁজছিলেন তিনি। খুঁজতে খুঁজতে তিনি অবশেষে পৌঁছান চোপড়ার উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে।

There is no slider selected or the slider was deleted.


সেখানে গিয়ে কথা বলেন কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ অঞ্জলি শর্মার সঙ্গে। তার মাধ্যমেই তিনি মাশরুম চাষ করে সফল হওয়ার রাস্তা দেখেন। এরপর সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। শুধু তাই নয় এর পরে শুরু হয় তার মাশরুম কে কীভাবে কাজে লাগানো যায় এবং আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে নানান ভাবনা এবং পরিকল্পনা। পরীক্ষামুলকভাবে মাশরুম থেকে আচার,জেলি সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেন এলাকায়। এরপর সাধারণ মানুষের কাছে সাড়া পেয়ে এসব তৈরি করে তিনি প্যাকেট করে বিক্রি করেন। সপ্তাহে দুদিন তার তৈরীর সামগ্রী চলে যায় শিলিগুড়িতে। উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী অঞ্জলী শর্মা বলেন, অনিমা সরকার তার উৎপাদিত মাশরুম থেকে নানান খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

তাই তাকে ২০১৯ সালে ভারতের সেরা মহিলা চাষির সম্মান দেওয়া হয়। এমনকি তারা উৎসাহিত হয়ে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের ল্যাবরেটরি ব্যবহারের অনুমতি দেন তাকে। স্নাতক অনিমা সরকারের গোটা বাড়ির বিভিন্ন চত্বর এবং বিভিন্ন ঘর, বারান্দা সব কিছুই যেন মাশরুম চাষ এবং মাশরুম দিয়ে অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরীর কাজে ব্যবহৃত। গোটা বাড়িটাকে তিনি কারখানার মতন করে ব্যবহার করছেন। বাড়ির একটি ঘরে যখন বীজ শোধন হচ্ছে তখন অন্য কোন ঘরে মাশরুমের খাদ্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। এই নিয়েই বেশ আছেন তিনি। তাকে দেখে অনেক মহিলারাই উৎসাহিত হয়ে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ করে আয়ের মুখ দেখেছে। যদিও তিনিই এখন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাস্টার ট্রেইনার।

There is no slider selected or the slider was deleted.