সুদীপ দাস, ১৯ ডিসেম্বর:- ব্রাইডাল শ্যুট করার নামে সুদুর শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থেকে আসা এক যুবক ঘাঁটি গেরেছিলো চুঁচুড়ায়। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্রাইডাল শ্যুটের নামে মহিলাদের ডেকে তাঁদের সাথে অসভ্যতা এবং সবশেষে গয়নাগাটি হাতিয়ে নেওয়াই ছিল ওই যুবকের মূল উদ্দেশ্য। মাস কয়েক আগে এবিষয়ে ব্যান্ডেলের এক মহিলা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত যুবকের কোন পরিচয় না জানানোয় অধরাই ছিল সে। সম্প্রতি কোলকাতার বাগুইআটির দুই মহিলা ওই যুবকের খপ্পরে পরে গয়নাগাটি হারান। সেই মহিলাদের অভিযোগের পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশের জালে ওই যুবক। রবিবার অভিযুক্তকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃতের নাম কৃষ্ণ ঘোষ। বাড়ি জলপাইগুড়ির ভক্তিনগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর কৃষ্ণ চুঁচুড়া স্টেশনের কাছে একটি আবাসনে ভাড়া থাকতো। কৃষ্ণ জেলার একাধিক জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলো বলে পুলিশের অনুমান।
ফেসবুক সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষ্ণ ব্রাইডাল শ্যুটের জন্য মডেল চাই বলে বিজ্ঞাপন দিতো। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই কৃষ্ণের সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাম্তের মহিলারা যোগাযোগ করতো। কৃষ্ণ ভাড়া নেওয়া সেইসমস্ত বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের শ্যুুট করার নামে বাড়ি থেকে আনা দামী গয়নাগাটি হাতিয়ে নিতো বলে অভিযোগ। পাশাপাশি মহিলাদের স্বল্পবসনায় ছবি তুলতে বাধ্য করতো বলেও অভিযোগ। মাস চারেক আগে ব্যান্ডেলের এক মহিলা এই মর্মে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তখন কৃষ্ণের কোন খোঁজ পায়নি। গত ১৭তারিখ কোলকাতার দুই মহিলাকে পোলবার একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে এসে একই কর্ম করে। এরপর স্বল্পবসনা ছবির ভয় দেখিয়ে মহিলা দুজনকে চুঁচুড়ার একটি মলের সামনে ছেড়ে দিয়ে চম্পট দেয়। সেদিনই ওই দুই মহিলা চুঁচুড়া থানায় এসে এবিষয়ে অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্তে নেমে মলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সনাক্ত করে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতকে চুঁচুড়ার বিশেষ আদালতে তোলা হলে মহামান্য আদালত অভিযুক্তকে ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।