এই মুহূর্তে কলকাতা

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রণ।

কলকাতা, ৩০ নভেম্বর:- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রন। এমত অবস্থায় রাজ্যে সরকার কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মানুষের চলাফেরা এবং যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। শুধু মাত্র জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। সেই সঙ্গে সব সময় মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া অফিস এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয়, তার নিশ্চিত করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। ওমিক্রনের ভীতি থাকায় কেন্দ্রের তরফে মঙ্গলবার সকালেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধিনিষেধ আগের মতই বহাল রাখতে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল বিধিনিষেধের মেয়াদ। উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের তরফে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়। সেই পথে হাঁটে রাজ্যও। এবার কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ। এই বিধিনিষেধে রাজ্যে বহাল থাকবে রাত্রিকালীন কার্ফু। রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা অবধি জারি থাকবে নাইট কার্ফু।

এতদিন রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করেই বাকি সবক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে বজায় ছিল বিধিনিষেধ। তবে পেক্ষাগৃহ, থিয়েটার ও ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানের জন্য ৭০ শতাংশ দর্শকে ছাড় ছিল। লোকাল ট্রেনেও যাত্রী সংখ্যা নির্ধারিত ছিল ৫০ শতাংশ। কিন্তু দেশে আপাতত ওমিক্রন নিয়ে ভীতি থাকায় মঙ্গলবার রাতেই প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রান্তে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হল। প্রতিটি বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে যে সব যাত্রী অবতরণ করবেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যে নির্দেশিকা রয়েছে, সেই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। যে সব যাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাঁরা নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত করতে সংগৃহীত নমুনা দ্রুত জেনোম পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে INSACOG জেনোম সিকোয়েন্স ল্যাবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠাতে যাতে অযথা দেরি না হয়, সে ব্যাপারে রাজ্য নিযুক্ত সার্ভিল্যান্স অফিসারকে নজর রাখতে হবে। প্রতিনিয়ত ল্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে সংশ্লিষ্টের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।’