কামারপুকুর, ১৩ অক্টোবর:- মহাঅষ্টমীর সকালেই কামারপুকুর মঠে শুরু হয়েছে কুমারীপুজো। প্রতিবছরই কামারপুকুর মঠের কুমারীপুজো দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা মঠে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এবার করোনা আবহে সর্বস্বাধারনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কামারপুকুর মঠ কর্তৃপক্ষ। ফলে কিছুটা হলেও হতাশ দর্শনার্থীরা। তবে কুমারি পুজো শেষ হবার পরই মুল দরজা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। উল্লখ্য প্রথা অনুযায়ী মহাষ্টমীতে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হলো কামারপুকুর শ্রী রামকৃষ্ণ মঠে। করোনা পরিস্থিতিতে এই উপলক্ষে এদিন মঠ প্রাঙ্গনে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটেনি। তবে এখানে বৈদিক মতে পুজো করা হয়। মঠ সু্ত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছরের ব্রাহ্মণ কন্যাকে এ দিন পুজো করা হয়।
এই মঠে যাঁরা রঘুবীরের পুজো করেন তাঁদের পরিবারের মধ্যে থেকেই একজন কন্যাকে পুজোর জন্য উপযুক্ত কুমারী নির্বাচন করা হয়েছে। এদিন কুমারী পুজার পর সন্ধি পূজো হয়। এই বিষয়ে কামারপুকুর মঠের অধ্যক্ষ মহারাজ জানান, প্রতি বছরের মতো এই বছরও কুমারি পুজো হয়। আমরা পাঁচ বছরের কুমারিকে পুজোর জন্য নেওয়া হয়। স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে কুমারি পুজোর প্রচলন করেন। সেই মতো বেলুড় মঠের প্রত্যেকটি শাখা মঠে কুমারি পুজো হয়। নারী শক্তির মধ্যেই মা দুর্গা আবিভাব হন। সেই জন্যই নারী শক্তিকে পুজা করি। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থবিধি মেনে মঠে পুজো পাঠ হয়।