এই মুহূর্তে জেলা

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ এর মোকাবিলায় হাওড়াতেও নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি।


হাওড়া , ২২ মে:- আগামী বুধবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ আছড়ে পড়তে চলেছে এই রাজ্যে। এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই কারণে আগাম প্রস্তুতি শুরু করলো হাওড়া জেলা প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ডব্লুবিএসইডিসিএল ও সিইএসসিকে কন্ট্রোলরুম খুলতে বলা হয়েছে। গাছ কাটার জন্য বিশেষ যন্ত্র সর্বক্ষণ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। পুরসভার সদর কার্যালয় ও প্রত্যেকটা বরো অফিসে ২৪ ঘন্টাই কন্ট্রোল রুম খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও হাওড়া পুরনিগমের কর্মীরা গাছ কাটার যন্ত্র সহ সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। ঝড়ে যদি কোনও রাস্তায় গাছ পড়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে পূর্ত দফতর তা সরানোর ব্যবস্থা করবে। দমকলের কর্মীরাও পুরসভার সঙ্গে সমম্বয় রেখে কাজ করবেন। এর পাশাপাশি সেচ দফতর হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ খালগুলি পরিষ্কারের কাজ করবে। পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পে যাতে বিশেষভাবে পরিষ্কার ও ড্রেনেজ সিস্টেম ঠিক থাকে তা দেখবে পুরনিগম ও কেএমডিএ।

রেলের সঙ্গেও সমম্বয় রক্ষা করে কাজ করবে হাওড়া পুরনিগম। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সাফাই কর্মীরা বেছেছেন। ঝড়ের পর সেই সমস্ত জায়গায় পরিষ্কারের কাজ করার জন্য। ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশ্রয়স্থল চিহ্নিত করার কাজও চলছে। হাওড়া পুরনিগম ও সিইএসসি মাইকে ঝড় নিয়ে সচেতনতা প্রচার করবে। এর সঙ্গে ত্রাণসামগ্রীও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ‘ইয়াশ’ নিয়ে পুরনিগমের তরফে বৈঠকও করা হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হাওড়ার পুর কমিশনার ধবল জৈন সহ প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য বিধায়করা। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি হেড কোয়ার্টারও। বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলার এক প্রশাসনিক সভায় ‘ইয়াশ’ এর মোকাবিলা কীভাবে করা হবে সে নিয়ে বৈঠক হয়। এর পাশাপাশি আজ শনিবার বালি থানার উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের মোকাবিলায় এক প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সিইএসসি, দমকল, বালি ট্রাফিক, বালি থানা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে নিয়ে ওই বৈঠকে বিদায়ী পুরবোর্ডের বালির জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।