অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ১৮ জানুয়ারি:- ‘কারোর কাছে মাথা নীচু করে নয়। আমরা আহএসএল খেলব। আর তা সস্মানেহ খেলব।’ ডার্বির আগেরদিন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের মন্তব্য অনেকটা তেমনই। তবে কী শতবর্ষে ক্রমাগত দলের হার, কোয়েস ও ক্লাবের দ্বন্দে ক্ষোভে ডার্বির আগে ক্লাবমুখী না হওয়া একাধিক সমর্থকদের কাছে টানতে কি দেবব্রত সরকার এমন কথা বলছেন। তবে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তার কথায় চিড়ে ভিজছে না। আর ভিজবে বা কী করে ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ডার্বির আগের দিনও চাপা থাকল না। অনুশীলনের আগে অ্যালেজান্দ্রো যেমন মাঠ ফাকা করে দেন। সাংবাদিকদের ছবি করতে দেন না দাঁড়াতেও দেন না। তেমনই ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসের আগেরদিন দেববব্রত সরকারকে মাঠ থেকে বেরিযে যেতে বলেন কোয়েস কর্তা। অ্যালেজান্দ্রোর অসুবিধা হবে বলে । প্রতিবাদ জানিযে লাল হলুদ কর্তা বলেন, ‘আমি কী করব তা আমার ব্যাপার। আপনি বলার কেউ নয়।’
এগিযে থাকা মোহনবাগান সমর্থকরা যদি এটিকে আসায় নিজেদের ঐতিহ্য বিক্রি হযে যাওয়ার হতাশায় ডার্বি নিয়ে নিশ্চুপ। তাহলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কথা বলার কোনো ভাষা নেহ। তবে আগেও হস্টবেঙ্গলে এমন জিনিস হযেে। পিছিযে থেকে ডার্বিতে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল আর পিছিযে থাকা অবস্থাতেহ মশাল বেশিবার জ্বলেছে। তবে কি মোহনবাগান থেকে সেহ আক্রমণ আসছে না বলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা চুপ না নিজেদের ক্রমাগত খারাপ ফর্ম দায়ী। উত্তর জানা নেহ। কল্যাণীতে মার খেযেেন সঞ্জীত সেন। ডার্বিতে খারাপ পারফরমেন্সের ভয়ে হস্টবেঙ্গল প্রেমীরা একপ্রকার শীতঘুম দিয়েছেন। সাইতে অনুশীলন হলেও ডার্বির আগেরদিন তো তার বাহরেও কলকাতা লিগের আগে অ্যালেজান্দ্রোর কাছ থেকে ডার্বি উপহার চেয়েছিলেন লাল হলুদ সমর্থকরা। না এবার কেউ কিছু চাহছেন না। ইস্টবেঙ্গল কেমন খেলবে তা নিযে উৎসাহ নেই । শতবর্ষে আহ লিগের স্বপ্নও নেহ। শধু আছে হতাশা ও কোচ, কর্তাদের ওপর অভিমান। সমর্থকদের আবেগে ক্ত্তি এতটাও গুরুত্ব নেই স্প্যানিশ কোচ অ্যালেজান্দ্রোর। গতবছর এহ অ্যালে স্যারকে নিযে যারা উচ্ছ্বাস করেছিলেন তাঁদের আনন্দের ভাষা ৱুঝতে পেরেও হংরেজি না বোঝা অ্যালে কি তাঁদের হতাশার ভাষা ৱুঝতে পারছেন ! মোহনবাগান তাঁৱুতে বসে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘প্রত্যেক খেলাতেই তো হারা জেতা থাকবে । জেতাতে যেমন উচ্ছ্বাসে ভেসে থাকতে নেহ। হারাতেও তেমনহ স্বাভাবিক থাকতে হয়। আমার দল তেমনহ আছে। আমি আত্মবিশাসী ডার্বি নিযে তবে এহ ম্যাচে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী হয় না। আমরা স্বাভাবিক খেলাটা খেললে আমরাহ জিতব। ১৫ দিন আগেও আমরা লিগ শীর্ষে ছিলাম। তাহ ওঠাপড়া থাকে।’ শেষ ৬ ম্যাচে গোল খেতে হযেে। ডিফেন্সে কোনো বোঝাপড়াহ নেই। সেবিষযে অ্যালেজান্দ্রো বলেন, ‘আমরা গোল খাওয়া নিযে ভাবছি না। তাছাড়া কখনো একটা বিভাগের ভুলে কিছু হতে পারে না ফুটবলে। একটা টিমগেম আমরা টিম হিসেবেই খেলব। তাছাড়া গোল যেমন হজম করেছি আমরা গোল করেছিও তা একটা পজিটিভ দিক। তবে আমি বিগত ম্যাচগুলো নিযে ভাবছি না। ডার্বি নিযে ভাবতে চাই। এহ ম্যাচেই আমি ফোকাস করতে চাই। যেখানে ভালো পারফর্ম করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’ অ্যালেজান্দ্রোর পাশে থাকা লালরিডিকা আবার বলেন, ‘ডার্বি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ম্যাচ। অন্য ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচের তুলনা করা উচিত হবে না। মোহনবাগান শক্তিশালী দল। তবে আমরা ওদের জমি ছেড়ে দেব না। কোচের স্ট্র্যাটেজির ওপর আমার আস্থা ওনার দেখানো পথে আগেও সাফল্য এসেছে আসা করছি এবারও আসবে।’ ডিকার অপেক্ষাতেহ প্রহর গুনছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হয়তো ডার্বিই পারবে পিছিযে থাকা ইস্টবেঙ্গলকে এগিযে দিতে। আর যদি না পারে তাহলে যে শতবর্ষে আবেগের মশাল যুবভারতীতেই নিভবে তা বলাই যায়।Related Articles
বাঁকুড়ায় প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতাদের ছাল চামড়া উঠিয়ে নেওয়ার হুঁমকি দিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বাঁকুড়া,২৮ জানুয়ারি:- পৌরসভায় ভোটের প্রচার ও সি এ এ এর প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতাদের ছাল চামড়া উঠিয়ে নেওয়ার হুঁমকি দিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করলেন বাঁকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ” তিনটে পৌরসভাই দখল করবো”। এবং তৃণমূলকে হুঁমকি দিয়ে বলেন, তৃণমূল […]
উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই তৃতীয়বারের জন্য জয় নিশ্চিত চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদারের।
হুগলি , ৩০ মার্চ:- চৈত্রের প্রখর দাবদাহ কে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার বেরিয়ে পড়েছেন ভোট প্রচারে। এদিন তার বিধানসভা এলাকার ১ নম্বর কোদালিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় পদব্রজে ভোট প্রচার সারলেন। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে অসিতবাবু চুঁচুড়া এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন। তার প্রচারের মূল হাতিয়ার […]
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ গঙ্গারামপুরে।
জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুর, ১০ জুলাই:- সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে কেন্দ্রের পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দু’দিনব্যাপী গঙ্গারামপুর চৌপথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলো তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। শনিবার রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দাসের নির্দেশ ক্রমে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রের বিজেপি […]