এই মুহূর্তে জেলা

বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীই সবাইকে বেইমানি শিখিয়েছেন , বিস্ফোরক সাংসদ অর্জুন সিং

ব্যারাকপুর , ২০ ডিসেম্বর:- পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সবাইকে বেইমানি শিখিয়েছেন একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসে এমনটাই দাবি করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাছাড়াও এদিন হাজির ছিলেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পানিহাটির প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংসদ সাংবাদিকদের বলেন, মেদিনীপুরে যোগদান পর্ব নিয়ে বলে বাংলা থেকে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে যাচ্ছি,তাই উৎসাহ তো থাকবেই। তবে এখনও সিনারিও অনেক বাকি। দেড় বছর আগে যে পথ ধরে ছুটতে শুরু করেছিলাম,সেই পথে শীলভদ্র দত্ত সহ অনেক সিনিয়র লিডাররা চলে আসায় গর্বিত। দল পরিবর্তন নিয়ে শীলভদ্র দত্তকে বেইমান বলা প্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিং এদিন বলেন,মমতা বন্দোপাধ্যায় তো পশ্চিমবঙ্গের সবচাইতে বড় বেইমান। উনিই সবাইকে বেইমানি শিখিয়েছেন। উনার বাড়িতে এসে অটল বিহারী বাজপেয়ি পা ছুঁয়ে প্রণাম করে যাবার পরদিনই উনি পাল্টি খেয়েছিলেন।

উনার নিজের দলের লোকজনদের জন্যে এরাজ্যে একরকম আইন। আর আমাদের জন্য আলাদা আইন। এখন এটাই উনার চিন্তাধারা। উনি নিজের স্বার্থ ছাড়া কোন কিছুই বোঝেন না। সাংসদের অভিযোগ, ব্যারাকপুরের কয়েকজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা সহ বেশ কয়েকজন বড় তোলবাজ। না হলে সামান্য চাকুরে থেকে তারা এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সাংসদের দাবি, রাজ্যে পালাবদল ঘটলে পাওনাদাররা এঁদের কাছ থেকে হিসাব বুঝে নেবে। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন,উনি আমি আমি করে বাংলার উন্নয়নকে শুন্যতে নিয়ে গেছেন। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার এবং বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচি নিয়ে তিনি কটাক্ষের শুরে বলেন, এখন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ক্রিমিনালরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দেখলেই ভয়ে মানুষ দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। আসলে মমতার স্বাস্থ্য স্বাথি থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি সহ সব প্রকল্পই ব্যার্থ। স্বাস্থ্য স্বাথি প্রকল্প নিয়ে উনি মানুষকে ভাওতা দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত,শনিবার রাতে মেদিনীপুরের যোগদান সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যারাকপুরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া পার্টি অফিস পরিদর্শনে আসেন সাংসদ অর্জুন সিং। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত দলীয় কর্মীদের সামনে তিনি জানান,তৃণমূল এখন গুন্ডা ও তোলাবাজদের দল। ব্যারাকপুরে বিধানসভা কেন্দ্রে শীলভদ্র দত্তকে সাড়ে নয় বছর কাজ করতে দেওয়া হয়নি।