পশ্চিম মেদিনীপুর , ১৭ ডিসেম্বর:- শুভেন্দু অধিকারী তার মন্ত্রিত্ব সহ বিধায়ক ও দলীয় সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই তার অনুগামী হিসাবে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কিষান ক্ষেতমজুর সেলের সভাপতি দুলাল মণ্ডল একশত তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে দল থেকে পদত্যাগ করলেন। যদিও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির বক্তব্য এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের প্রতি একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কিষান ক্ষেতমজুর সেলের জেলা সভাপতি দুলাল মন্ডল। তিনি বলেন ১৯৯৮ সাল থেকে দল করে আসছি হার্মাদ ও মাওবাদীদের কার্যকলাপের মাঝে আতঙ্কের মধ্যেও দলকে প্রতিষ্ঠায় পৌঁছেছি। কিন্তু সেই দল থেকে কোনো মর্যাদা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি পেয়েছি শুধু লাঞ্ছনা ও অপমান। দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যকলাপ থেকে দূরে সরে থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্বের কোন সহানুভুতি পাইনি। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শালবনির বিধায়ক ও গড়বেতার বিধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন কিষান সেলের এই নেতা।
এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুলাল মন্ডল বলেন আগামী ১৯ তারিখ মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে অমিত শাহ এর সভাতে জেলার একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব যোগদান করতে চলেছে বিজেপিতে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে পারেনি তৃণমূল। তার জনপ্রিয়তা কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল এমনটাই মন্তব্য করলেন দুলাল মন্ডল। পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোর দল পরিচালনা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন তারাও এক দুর্নীতিবাজ তাদের কর্মীরা এলাকায় এলেও প্রকৃত যারা তৃণমূল করতেন তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেন না বা তাদের সঙ্গে কোন কথা বলেন না। যেখানে মর্যাদা নেই যেখানে আত্মসম্মান নেই সেই দল না করাই ভালো এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের কিষান ক্ষেতমজুর সেলের সভাপতি দুলাল মন্ডল। পাশাপাশি তিনি তার পদত্যাগপত্র বেচারাম মান্নাকে ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।যদিও এই সম্বন্ধে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তী জানান এর ফলে দলের কোনো ক্ষতি হবে না এই সব ব্যক্তিরা দুর্নীতিগ্রস্ত।