কোচবিহার , ১৫ ডিসেম্বর:- ৯ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সরকারি অনুমোদন না মেলায় আর্থিক ভাবে সমস্যায় ভুগতে থাকা নিশিগঞ্জ মধুসূদন হোড় মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার সিধান্ত নিয়েছে। আজ কলেজের ভিতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই ঘোষণা করেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা। পঞ্চানন বিশ্ব বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিশিগঞ্জ মধুসূদন হোড় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষকদের ওই কর্মবিরতির জেরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঙ্কট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকে কলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে গেলে দুই এলাকা থেকে দাবি উঠে আসে। একটি নিশিগঞ্জ এবং অন্যটি ওই ব্লকেরই ঘোকসাডাঙ্গা এলাকা থেকে। শেষ পর্যন্ত দুই জায়গাতেই কলেজ স্থাপনের অনুমতি মেলে। কিন্তু ঘোকসাডাঙ্গা কলেজের সরকারি অনুমোদন মিললেও নিশিগঞ্জ কলেজ তা থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। ফলে পরিচালন কিমিটির আর্থিক সহায়তায় ওই কলেজ এতদিন ধরে চলে আসছে। এর জেরে একদিকে যেমন কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। তেমনি ছাত্রছাত্রীদেরও ওই কলেজে ভর্তি হতে অনেক টাকা গুনতে হচ্ছে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
ওই কলেজের এক শিক্ষকের কথায়, তাঁরা উচ্চ শিক্ষা দফতরে বারবার যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে কলেজের সরকারি অনুমোদনের ফাইল ফিনান্স ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু মুখ্যমন্ত্রী দফতরের অনুমোদনের দরকার। কিন্তু সেটাই হয়ে উঠছে না। এদিনই কোচবিহারে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এসেই কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করবেন। এরপর শিবযোগ্য মন্দিরে গিয়ে পূজা দেবেন। আগামীকাল কোচবিহার রাসমেলার মাঠে তাঁর দলীয় কর্মী সভা রয়েছে। এই সুযোগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিশিগঞ্জ কলেজের বর্তমান অবস্থার কথা পৌঁছাতেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওই আন্দোলন কর্মসূচী বলে মনে করা হচ্ছে।