হাওড়া , ৩০ নভেম্বর:- হাওড়ার শিবপুরে মহম্মদ আবদুল্লাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল তিন অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ বিহারের নওয়াদা জেলা থেকে এদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম আলি হোসেন ওরফে সাদ্দাম, মহম্মদ তৌসিফ ওরফে গ্যাঁড়া এবং মহম্মদ আজাদ ওরফে কাল্লু। এরা হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার পিএম বস্তি এলাকার বাসিন্দা। গত ১৬ নভেম্বর রাতে ধৃত ৩ জন সহ মোট ৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল গুলি চালায় চালায় মহম্মদ আবদুল্লার উপর। ধৃতদের সোমবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ নভেম্বর রাতে মহম্মদ আবদুল্লার ওপর গুলি চালায় মোট ৫ জনের ওই দুষ্কৃতী দল। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পরিবার নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। ধৃতেরা চলে যায় বিহারের নওয়াদা জেলায়। কিছুদিন সেখানে তারা এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল।
পুলিশ তদন্তে নেমে খোঁজ চালায় অভিযুক্তদের। জানতে পারে অভিযুক্তরা বাড়ির লোকেদের নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ বিভিন্ন সোর্সকে কাজে লাগিয়ে তদন্তে নামে। সোর্স মারফত খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের একটি টিম বিহারে পৌঁছায়। প্রায় ৩ দিন ধরে সেখানে অভিযুক্তদের ফলো করা হয়। রবিবার এদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ধৃতদের নিয়ে আসা হয় শিবপুর থানায়। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সোমবার ভাইফোঁটার দিন রাতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার রামকৃষ্ণপুর লেনে। প্রকাশ্যেই মহঃ আবদুল্লা নামের এক যুবককে গুলি করে খুন করা হয়। জখম হয় আরও এক যুবক। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মহঃ আবদুল্লা সোমবার রাতে এক যুবকের সঙ্গে রামকৃষ্ণপুর লেন দিয়ে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন।
তখনই আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে লক্ষ্য গুলি করে। তার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। এলোপাথাড়ি প্রায় তিন রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আবদুল্লা। এরপর পুলিশ এসে তার দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগ, দুষ্কৃতিরা পাঁচজন এসেছিল। এদের মধ্যে ছিল সাদ্দাম, গ্যাঁড়া, কাল্লু সহ পাঁচজন। ওরাই গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জানা যায়, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গুলি-কান্ড। অভিযুক্তরা দুষ্কৃতী দলের হয়ে কাজ করত। তারাই সোমবার গুলি-কান্ডে জড়িত ছিল।