হাওড়া , ২৮ নভেম্বর:- নিজের দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ হাওড়ায় বালি কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতির। এলাকায় উন্নয়নের কাজে খামতি রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। লিলুয়ায় গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘরের ছাদ পাননি বহু মানুষ এমনও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তি নেই দাবি বিধায়িকার। পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বালি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তফজিল আহমেদের অভিযোগ, বিধায়ককে আপদে বিপদে দরকারে ২৪ ঘন্টার জন্য বালি বিধানসভা অঞ্চলের মানুষ পায়না। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দল যেন এই বিষয়টি মাথায় রেখে বালি কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচন করে।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তফজিল আহমেদ আবেদন করেন এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হোক যিনি সর্বক্ষণ মানুষের পাশে থেকে মানুষের হয়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি, তফসিল আহমেদের আরও অভিযোগ, গীতাঞ্জলি প্রকল্পে লিলুয়ায় এখনও বহু কাজ এখনও অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। বালি বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নের কাজেও খামতি রয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে সেই কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি। এদিকে, অভিযোগ প্রসঙ্গে বালি কেন্দ্রের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানান, “এমন অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। ভোটার লিস্টের যে কাজ চলছে সেটাও সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে হচ্ছে। উনি একটা অবান্তর ভিডিও করেছেন, যেখানে উনি বলেছেন, ভোটার লিস্ট নিয়ে আমি বাড়ি চলে এসেছি।
উনি এতটাই নন পলিটিক্যাল যে উনি এটুকু জানেন না যে ভোটার লিস্টটা বেহালায় নিয়ে এসে বালি বিধানভার ভোটাররা কোনদিনই ভোট দিতে পারবেন না।” বিধায়ক উন্নয়নের টাকা তছরুপের অভিযোগ এবং এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া বলেন, “কোনও বিধায়কই ফান্ডের টাকা তছরূপ করতে পারেন না। আমার এলাকায় নাগরিক পরিষেবার সব কাজটাই আমি করি। গত ৫ বছর ধরে ৫৬ নং ওয়ার্ডে আমার অফিস রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত কাজ চলে। মানুষ প্রয়োজনে সেখানে আসেন। সেখানেও কাজ চলছে। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন।”