হুগলি , ১৮ আগস্ট:- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোপুজো । করোনা পরিস্থিতিতে সেই পুজো এবার কীভাবে হবে , আদৈও হবে কিনা সন্দিহান সকলেই । এমত অবস্থায় বিপাকে পড়েছে প্রতিমার সাজের শোলা শিল্পীরা । আগাম কাজের বড়াত না মেলায় এই পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় চলে গেছে সিঙ্গুরের শোলা শিল্পীরা । সিঙ্গুরের পলতাগড় গ্রামে রয়েছে মালাকার পাড়া । প্রতীমাকে ডাকের সাজে সাজিয়ে তুলতে গ্রামের বেশ কয়েকজন শিল্প লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাঁদের শিল্প নৈপুণ্যকে ধরে রাখতে । বয়সের ভারে মালাকারদের চোখের দৃষ্টি শক্তি কমেছে। বন্ধ হয়েছে শ্রবণ শক্তি । তবুও পেশাকে টিকিয়ে রাখতে পরিবারের সকলে কাজে হাত লাগায় প্রতিমার সাজের জন্য । কিন্তু বর্তমানে লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন বাড়োয়ারী থেকে নেই কোনও পুজোর বায়না । ফলে গ্রামের অধিকাংশ শিল্পীরা ভিন্ন পেশায় নিযুক্ত হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে ।
আগে শ্রীরামপুর , চন্দননগর, সোদপুর সহ বিভিন্ন এলাকার পুজোর ডাকের শোলার সাজ করতে পাড়ি দিত সিঙ্গুরের এই মালাকার পাড়া থেকে । আগে এই মালাকার পাড়ার প্রতিটি ঘরে তৈরি হত প্রতিমার ডাকের সাজ। সেই থেকে গ্রামের নাম মালাকার পাড়া হয় । প্রতি বছর পুজোর চারমাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায় প্রতিমার শোলার সাজ । কিন্তু এই বছর অধিকাংশ মালাকার এখনো পর্যন্ত পায়নি প্রতিমার সাজের বায়না। তবুও হাল ছাড়তে রাজি নয় শোলা শিল্পীরা । মা দুর্গার মৃন্ময়ী রুপ কে চিন্ময়ী রুপ দিতে শোলার সাজের যে আড়ম্বর , তাঁকে টিকিয়ে রাখতে এখনোও পথ চেয়ে রয়েছে কয়েকজন শোলা শিল্পী । এই শোলা শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখতে এই লকডাউন পরিস্থিতিতেও তাকিয়ে রয়েছে সিঙ্গুরের মালাকার পাড়ার শিল্পীরা।