এই মুহূর্তে খেলাধুলা

দর্শক নিয়েই আরবে আইপিএল, ১৫০ দিন পরিবার থেকে দূরে বিরাটরা ।


স্পোর্টস ডেস্ক , ১ আগস্ট:- সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এখন করোনা ভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই সে দেশেই আইপিএলের আসর বসাতে চলেছে বিসিসিআই। পরিস্থিতি কঠিন হলেও টুর্নামেন্ট আকর্ষণীয় করে তুলতে মাঠে দর্শক বসানোর পরিকল্পনা করছে আমিরশাহী ক্রিকেট বোর্ড। প্রতি ম্যাচে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আসন পূর্ণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী রবিবার অর্থাৎ ২ অগাস্ট বৈঠকে বসছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বৈঠকে টুর্নামেন্ট নিয়ে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বিসিসিআই।

বৈঠক শেষে আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করা হতে পারে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত যা খবর, করোনা ভাইরাসের আবহে আইপিএল ঘিরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বেশকিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হতে পারে। সেগুলির সঙ্গে ধাতস্ত হতে এবং প্রায় সাড়ে ছয় মাসের জড়তা কাটাতে ১০ অগাস্ট আরবে পৌঁছে যেতে পারে চেন্নাই সুপার কিংস। ১৯ কিংবা ২০ অগাস্ট দুবাই পৌঁছতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাক দলগুলি ২৫ কিংবা ২৬ অগাস্ট আমিরশাহীতে পৌঁছতে পারে বলে খবর।

করোনা ভাইরাসের আবহে আইপিএলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকতে পারবেন না তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আইপিএলের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও পরিবারকে কাছে পাবেন না বিরাট কোহলিরা। কার্যত ১৫০ দিন দেশের থেকে দূরে কেবল ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকতে হবে বিরাট কোহলিদের। আইপিএল শেষ হলে দুবাই থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ৩ ডিসেম্বর থেকে দুই দলের মধ্যে প্রথম টেস্ট শুরু হবে। ৭ জানুয়ারি শেষ হবে ওই দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ। ১২ জানুয়ারি থেকে দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বিসিসিআই সূত্রে খবর, ১২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাবেন বিরাট কোহলিরা।

টুর্নামেন্ট চলাকালীন বা তার আগে সুরক্ষিত থাকতে ক্রিকেটারদের কী কী বিধি মেনে চলা উচিত, তা নিয়ে ২৪০ পাতার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর বা এসওপি তৈরি করেছে বিসিসিআই। আইপিএলের উদ্বোধন, ম্যাচ চলাকালীন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রিকেটাররা একে অপরের থেকে কতটা দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন, তা ২৪০ পাতার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর বা এসওপি-তে বলা হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন এবং খুব প্রয়োজন ছাড়া ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের তাঁদের জন্য নির্ধারিত বায়ো সিকিওর বাবল ছেড়ে না বেরোনোর কথা লেখা থাকতে পারে বিসিসিআই-এর গাইডলাইনে। এ ব্যাপারে জোর নজরদারি চালাতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।