চিরঞ্জিত ঘোষ , ৪ জুলাই:- কেন্দ্রীয় সরকার তো বাংলাকে বঞ্চনা করছে। কোনরকম সাহায্য তো তারা দেয়না , তার মধ্যেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন । তিনি ৮০ টি কবিড হসপিটাল তৈরি করেছেন ও ৫৫০ টি কোয়ারইন্টিং সেন্টার করেছেন , এটা হয়েছে সবই মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে। আজ ডানকুনি টোল প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে এসে আইএনটিটিইউসি নেত্রী ও সাংসদ দোলা সেন তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বলেন।
তিনি জানান দেশের মধ্যে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে গরিব মানুষ এবং শ্রমিকদের পাশে আছেন । এই বিপদের দিনে তিনি বিনা পয়সায় মানুষকে রেশন দেবার বন্দোবস্ত করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এটা আগামী দিনে বেশ কয়েক মাস জারি থাকবে । এক প্রশ্নের উত্তরে দোলা সেন জানান যে পশ্চিমবাংলার মানুষ পোলারাইজড এখানে কে মানুষের পক্ষে আর কে মানুষের বিপক্ষে এটা আড়াআড়ি দু ভাগে ভাগ বিভক্ত হয়ে গেছে । কারা মানুষের পক্ষে আর করা বিপক্ষে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের পক্ষে মা-মাটি-মানুষের সরকার মানুষের পক্ষে আর কংগ্রেস সিপিএম বিজেপি যে মানুষের বিপক্ষে সেটা জনসাধারণ জেনে গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন অনেক বড় যার জন্যেই পরিসেবা দেবার ক্ষেত্রে সেখানে কিন্তু বাদ বিচার করেন না । এইখানেই অন্যান্যদের সঙ্গে তার তফাৎ। অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানে এসে জেলা পরিষদের পূর্ত দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় জানান টোল প্লাজা আইটিটিইউসি ইউনিয়নের ইউনিট এবং মাদার ডেয়ারি আইএনটিটিইউসি ইউনিট দুটো সংস্থার পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পঞ্চাশ হাজার করে দুটি চেক তুলে দেওয়া হল মাননীয় সাংসদ দোলা সেন এর হাতে ।আজকের অনুষ্ঠানে শ্রীরামপুরের সাংসদ মাননীয় কল্যাণ ব্যানার্জির উপস্থিত থাকার কথা ছিল কিন্তু বাঁকুড়ার একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবার জন্য তিনি আসতে পারেননি। যার জন্য আমরা আমাদের মাননীয় নেত্রী সংসদ দোলা সেন এর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থ তুলে দেয়া হলো।