এই মুহূর্তে জেলা

করোনার মধ্যেই ডেঙ্গুর আতঙ্ক ডানকুনিতে।


চিরঞ্জিত ঘোষ , ২ জুলাই:- ডানকুনি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকায় সেখানকার বাসিন্দাদের কষ্টের সীমা নেই । তাদের অভিযোগ বর্ষা শুরু হতে না হতে হতেই এত জল জমে গেছে। তাহলে সেখান মশার জন্ম হবে এবং ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা করছেন। তাদের বক্তব্য আমরা বারবার পুর প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না আমরা যে মানুষ সেটাই তারা বুঝতে চায়না ভোটের সময় খালি আসে , ভোট ফুরোলেই সব শেষ আর তাদের খোঁজ নেবার সময় থাকেনা। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ সিং জানান ১৪ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ এইভাবে ফল ভোগ করছে। কারণ এখানে তৃণমূলের নেতারা সিন্ডিকেট করে এরা পুকুর ভরাট করেছিল জল নিকাশির কোনো রকম ব্যাবস্থা রাখেনি। ড্রেনেজ সিস্টেম পুরো ভেঙে পড়েছে এত বড় পুকুর বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল উঠে যাচ্ছে কোন রকম জল বেরোবার পথ নেই বাড়ি বাড়ি জল ঢুকে যাচ্ছে।

এখানে কি একটা পুরসভা আছে তা অনেকেই জানেন না কি তাদের কাজ কেউ জানে না যখন সিন্ডিকেট করে নেতারা টাকা লুটে নিয়ে চলে গেল এখন তারা কোথায় ? মানুষ যে এত বিপদের মধ্যে রয়েছে তারা কি জানে। ডানকুনিতে করোনা দেখা দিয়েছে কোন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে এখানকার পুরসভা। তিনি অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিমবাংলার কোনরকম উন্নয়ন নেই এখানে মানুষ বিপদের মধ্যে আছে এবং আমরা এই সমস্ত মানুষ দের নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ডানকুনি পৌরসভা ঘেরাও করব এবং আমরা প্রতিবাদ জানাবো। অন্যদিকে এই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরসদস্য শম্বু সাউ জানালেন যে আমার ওয়ার্ডে বিগত পাঁচ বছরে আমি যেমন অনেক কাজ করেছি তেমনি কিছু কাজ বাকি আছে এটা সত্যি। ওখানকার রাস্তা তৈরির জন্য আমরা মিউনিসিপাল এফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টে প্রপোজাল দিয়েছি এবং খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এবং আমরা একথাও বলতে চাই যে ওখানে গিয়ে নর্দমায় যে প্লাস্টিক গুলো দেখেছেন ওগুলো মানুষই ফেলেছে।