এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগর স্টেশনের দেওয়ালে পরিবেশ রক্ষার বার্তা।

হুগলি, ১৮ সেপ্টেম্বর:- চন্দননগর স্টেশনের দেওয়ালে রঙিন ছবি, পরিবেশ রক্ষার বার্তা, গাছ কেটে পরিবেশ রক্ষা কি সম্ভব? প্রশ্ন নাগরিকদের। তড়িঘড়ি মুছে দেওয়া হল সেভ পলিউশন লেখা।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রেল সচেষ্ট দাবী পূর্ব রেলের। পূর্ব রেলের হাওড়া ব্যান্ডেল শাখায় চন্দননগর স্টেশন। অমৃত ভারত প্রকল্পে স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। স্টেশনের পূর্ব দিকে যেসব দোকান ছিল তা উচ্ছেদ করে সেখানে সীমানা পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। সেই দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা ধরনের ছবি লেখা হয়েছে ক্যাপশান। কোনোটায় লেখা, সেভ পলিউশন, গাছ কাটার জন্য পিছনে করাত নিয়ে গাছের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তির ছবিতে লেখা স্যাড রিয়েলিটি। প্লাস্টিক নিয়ে জল অপচয় নিয়েও দেওয়াল লিখন রয়েছে। পরিবেশ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে রেল দপ্তর। তবে চন্দননগর স্টেশনে ঢোকার মুখে যে গাছ গুলো ছিলো সেই গাছ ছাঁটা হয়েছে নির্বিচারে। স্টেশন আধুনিক করার জন্য যে ভাবে গাছ কাটা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। চন্দননগরের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্টেশন মাস্টারকে এবিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হীরালাল সিংহ বলেন, চন্দননগর স্টেশনের উন্নয়ন বা আধুনিকীকরণের বিরোধী আমরা নই। কিন্তু যেভাবে গাছ কাটা হয়েছে সেটা কখনোই কাম্য নয়।

এখন অনেক পদ্ধতি বেরিয়েছে কোন গাছকে না কেটেই তাকে গোড়া থেকে তুলে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা যায়। সেই ব্যবস্থা করতে পারত রেল। যে গাছটি কাটা হয়েছে তা বহু প্রাচীন গাছ এবং এই গাছে হাজার হাজার পাখির বাসা ছিল। গাছের প্রায় সব ডাল কেটে দেওয়ার ফলে সেই পাখি আর আসে না। সকাল সন্ধ্যে চন্দ ননগর স্টেশন চত্বর পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠতো।স্টেশন আধুনিকীকরণ করার জন্য গাছের ডাল ছাঁটায় সেই পাখির আওয়াজ আর শোনা যায়ানা। এ নিয়ে খেদ রয়েছে এলাকার মানুষের। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানান, এ বছরে রেল বিভিন্ন জায়গায় দশ থেকে পরনো লক্ষ গাছ বসিয়েছে। এবং রেল যেটা করে এটা অন্যকোন সংস্থা করে না। ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজনে যদি গাছ ছাড়তে হয় তাহলে রেল সেটা বিকল্প জায়গা গাছ বসানোর ব্যবস্থা করে দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে রেল সদা সচেষ্ট রয়েছে। তবে কাটা গাছের পাশে সেভ পলিউশান ক্যাপশান নিয়ে সমাজ মাধ্যমে চর্চা শুরু হতেই, ওই ক্যাপশান মুছে দেওয়া হয়। সিপিআরও এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্রাফিক্সের সঙ্গে মিল না থাকায় মোছা হচ্ছে। চন্দননগরের ঐতিহ্য যা কিছু সবই ফুটিয়ে তোলা হবে স্টেশনের দেওয়ালে।