এই মুহূর্তে জেলা

জয়হিন্দ বাহিনীর উদ্যোগে একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা শেওড়াফুলিতে

হুগলি, ৬ জুলাই:- আর মাত্র দু সপ্তাহ বাকি, তারপরেই একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্মতলা অভিযান। আর এই অভিযান সফল করার জন্য সারা রাজ্যের সঙ্গে হুগলি জেলাতেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। রবিবার হুগলি জেলা জয়হিন্দ বাহিনীর উদ্যোগে রবিবার অনুষ্ঠিত হলো একুশের অভিযানকে সফল করার প্রস্তুতি। এদিনের এই প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন, জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি তথা বৈদ্যবাটি পুরসভার সিআইসি সুবীর ঘোষ, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা অধিকারী,

তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জী, সহ পৌরসভার পুর প্রধান পিন্টু মাহাতো সহ পৌর সদস্য সদস্য ও জেলা ও শহরের নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে বলতে জেলা জয় হিন্দ বাহিনী সভাপতি সুবীর ঘোষ জানান একুশে জুলাই আমাদের কাছে একটা আবেগ। ১৯৯৩ সালে একুশে জুলাই আমাদের দলনেত্রী তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নো আইডেন্টিটি, নো ভোট, অর্থাৎ পরিচয় পত্র ছাড়া ভোট হবে না, এই দাবি তুলে ডাক দিয়েছিলেন মহাকরণ অভিযানের, সেদিন সারা বাংলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ শামিল হয়েছিলেন মহাকরণ অভিযানে।আর সেই দিনই ঘটেছিল ইতিহাসের নজিরবিহীন নারকীয় ঘটনা।

বর্বর তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩ জন তরতাজা যুবক, রক্তে ভেসে গিয়েছিল কলকাতার কালো রাজপথ। তারপর থেকেই প্রতিবছর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মীরা হাজির হন ধর্মতলায় শহীদ তর্পণ অনুষ্ঠানে ।প্রতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ হাজির হন এই সভায়। এ বছরও অন্যথা হচ্ছে না। ওই দিন এবারও হুগলি জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ যাবে ধর্মতলায় শহীদদে প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে,এর সঙ্গে দলনেত্রী আগামী দিনে কিভাবে তৃণমূল কর্মীরা পথ চলবে মানুষের পাশে থাকবে সেই বার্তা শুনতে।