হুগলি, ৩০ মার্চ:- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ পৃথিবীর সবথেকে বড় ক্রিকেট লিগ। সেই খেলাতেই অন ফিল্ড আম্পায়ারিং করছেন বাংলার ছেলে অভিজিৎ। চন্দননগর চার মন্দির তলার বাসিন্দা অভিজিৎ এবার আইপিএলের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আইপিএল ইতিহাসে এই প্রথমবার একজন বাঙালি ম্যাচ পরিচালনা করছেন। এবার আইপিএলে ছটা ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এর আগেও তিনি বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আম্পায়ারের দায়িত্ব সামনেছেন তবে পৃথিবীর সব থেকে বড় প্রিমিয়ার লিগে এই প্রথম দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। ২০০৮ এ সিএবি আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়ে তার পথ চলা শুরু হয়। ২০১২ থেকে বিসিসিয়ের ম্যাচে আম্পিয়ারিং এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অভিজিৎ বাবু এই বছর প্রথম তিনি অন ফিল্ড আম্পায়ারিং করে খেলা পরিচালনা করছেন। এর আগে আইপিএলে চতুর্থ আম্পেয়ার হিসেবে ও ছিলেন, গত বছরের উইমেন প্রিমিয়ার লিগ ও খেলিয়েছেন তিনি। তবেই প্রথমবার আইপিএলের মতন হাই টেম্পার ম্যাচ মাঠে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারিং করছেন চন্দননগরের বাসিন্দা।
২০০৮ সালে আম্পায়ারিং করানোর জন্য সিএবির পরীক্ষা পাস করেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। ঠিক তার দুই বছরের মধ্যেই বিসিসিআই এর আম্পায়ারিং পরীক্ষাও উত্তীর্ণ করে ঘরোয়া ক্রিকেট যেমন রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে এই ধরনের ডোমেস্টিক ক্রিকেট খেলানোর পর তিনি সুযোগ পান জাতীয় ক্রিকেট খেলার মতে আম্পায়ারিং করার। সবশেষে ২০২৪ সালে আইপিএলে ফোর্থ আম্পেয়ারের সুযোগ এবং এই বছর প্রথমবার একেবারে মাঠে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারিং করানোর সুযোগ পেয়েছেন অভিজিৎ বাবু। এই বছরের তার প্রথম ম্যাচ যা তিনি খেলিয়েছেন তা হলো লখনৌ সুপার জায়ান্ট বনাম সানরাইজার হায়দ্রাবাদ। আবারো রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম সানরাইজ হায়দ্রাবাদের দুপুরের হাই টেম্পার ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে দেখা যাবে চন্দননগরের যুবক অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে।
এই সময় অনলাইনকে অভিজিৎবাবু জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তার ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা ছিল। আগে কাউন্ট্রি লীগ ক্রিকেট খেলার জন্য তিনি প্রায়শই ইংল্যান্ডে যেতেন। তবে আস্তে আস্তে খেলা ছেড়ে খেলা পরিচালনা অর্থাৎ আম্পেয়ারিং করানোর দিকে তার আগ্রহ জন্মায়। এভাবেই ২০০৮ সাল থেকে চলছে তার আম্পায়ারিং করানো। তবে এই বছর প্রথমবার তিনি আইপিএল খেলানোতে আম্পেয়ারিং করানোর সুযোগ পেয়েছেন। আইপিএলের মতন একটি বড় পর্যায়ের খেলায় আম্পায়ারিং করানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। শুধু চ্যালেঞ্জিং নয় এই চ্যালেঞ্জকে সুচারু ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন আম্পায়ারিং এর মাধ্যমে চন্দননগরের বাসিন্দা অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
