এই মুহূর্তে জেলা

সুতন্দ্রার মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে আমরা আক্রান্তের প্রতিনিধি দল চন্দননগরে।

হুগলি, ২ মার্চ:- সুতন্দ্রার আকস্মিক মৃত্যুর সুবিচারের জন্য পরিবারের পাশে আমরা আক্রান্তের প্রতিনিধি দল। রবিবার সকালে কলকাতা থেকে সুতন্দ্রার চন্দননগরের বাড়িতে আসে। প্রাক্তন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র সহ চারজন প্রতিনিধি আসেন। মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারা।প্রয়োজনে আইনি সাহায্যে সহ এই পরিবারের বিভিন্ন সহযোগিতা করবেন এই প্রতিনিধিরা। সুতন্দ্রার বাড়িতে আধ ঘন্টা ছিলেন তারা। সেখান থেকে বেরবার সময় অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন ২০১১ সালের পরে আমরা বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছি। খুন ধর্ষণ মিথ্যে মামলা সহ একাধ িক মামলায় হয়েছে। আমরা অভিজ্ঞতার সাক্ষী রয়েছি। রাজ্যে শাসক দল অপরাধীদের যে সব সময় আড়াল করছে, প্রশ্রয় দিচ্ছে তারি ফলশ্রুতিতে এই ঘটনাটা ঘটেছে। এটা মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে গাড়ি ধাক্কা মেরেছে, সেই গাড়ির চালক আগে বিজেপি করত। এখন তৃণমূল কংগ্রেস করে।

যে গাড়ি ধাক্কা মেরেছে, সেই গাড়িতে মদের বোতল পাওয়া গেছে। সুতন্দ্রার ড্রাইভার রাজদেও শর্মা বয়ান বদলে প্রসঙ্গে অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন সিসিটিভি ছবি ও বয়ান বদল করা এখন খুবই সহজ। বর্তমান রাজ্য সরকার ও শাসক দল দুষ্কৃতী রাজ কায়েম করেছে। আরজিকর মেডিকেল কলেজের অভয়ার মৃত্যুর পরে বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তারপরে বিচারের নামে যা হয়েছে। শিয়ালদা কোর্ট থেকে যে রায় বেরিয়েছে। ১৭২ পাতায় যে কপি বেরিয়েছে। ওর থেকে স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞাতশারেই পুলিশ প্রশাসন ও সিবিআই তথ্য প্রমাণ লোপাট ও তদন্ত সঠিক না করেই বিচার টাকে প্রহসনে পরিণত করেছে। পুলিশ দিনকে রাত, রাতকে দিন করতে পারে। পুলিশ মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী যদি চায় আর কারোর কিছু করার নেই। এখনকার আইপিএসআইএস সকলেই দলদাসে পরিণত হয়েছে।তাই সমস্ত থানা তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। আজ বরুন দাস খুন হয়েছিল তার দাদাও ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে ছিল।

তিনি বলেন আমার উপর তিন তিনটে মিথ্যা মামলা এখনো চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন খেলা হবে বলে গুন্ডারাজ কায়েম করেছেন। পুলিশকে ব্যবহার করেই গুন্ডা রাজ কে মদত দিচ্ছে। চন্দননগরের সুতন্দ্রার মৃত্যু তে মায়ের মেয়ে ফিরে আসবেনা ঠিকই। এখানে এসে যেটা জানলাম পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল সুতন্দ্রা। আট মাস আগে তার বাবাও ক্যান্সারে মারা গেছে। সত্যিই এটা বেদনাদায়ক ।বাড়িতে দু দুজন বৃদ্ধা ঠাকুরমা দিদিমা রয়েছে। তারাও কান্নাকাটি করছেন। এটা মর্মান্তিক ঘটনা এরা চাইছে প্রকৃত দোষীরা সাজা পাক। আসল ঘটনার সামনে আসুক। কিন্তু আমি আপনি সবাই জানি এই ঘটনার সামনে আনার দায়িত্ব দেশের সংবিধান অনুযায়ী পুলিশের বা তদন্তকারী সংস্থার। তাদেরকে যদি রাজ্যের শাসক দল, কেন্দ্রের শাসকদল কবজায়ে নিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে ব্যবহার করে। তাহলে আমি আপনি বিচার পাবো কি করে। দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধানের প্রতি ভরসা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের পক্ষেই থাকবো। আমরা পরিবারে পাশে থাকবো।আমাদের যেটুকু ক্ষমতা আছে অবশ্যই করব। আমাদের সঙ্গে অশোক কুমার গাঙ্গুলির যোগাযোগ রয়েছে। রাজ্য সরকার দ্বারা তিনি ও আক্রান্ত মানুষ। তিনি পরামর্শ দেবেন সেই পরামর্শ তাদের কাছে আমরা পৌঁছে দেব।